গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীতে সড়ক ও জনপথের সড়কের পাশে দিনভর নাটকীয় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পযর্ন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
জানাগেছে, কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া থেকে কালনা ফেরিঘাট পর্যন্ত চার কিলো মিটার আঞ্চলিক সড়কটি দীর্ঘ চার বছর যাবত সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে তেমন কোন সংস্কার করা হয়নি। অন্যদিকে এই চার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে সড়ক বিভাগের কোন প্রকার লিখিত অনুমতি ছাড়াই বালু ব্যবসায়ীরা শতাধিক বালুর চাতাল করে রমরমা ব্যবসা করে আসছে। সড়কের দুই পাশের বালুর চাতালের পানি ও বৃষ্টির পানি সড়কের উপর আটকে গিয়ে দিন দিন গর্ত হতে থাকে। বর্তমানে এই সড়কটির কোন অস্তিত্ব খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছে না।
এই সড়কটি নিয়ে বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিককে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। তবুও সড়কটি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের তেমন কোন মাথা ব্যথা দেখেনি এলাকাবাসী। নাম মাত্র কয়েকটি অভিযান হয় এই সড়কে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ ও কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমান কয়েক দফা বালু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেন। সর্বশেষ সড়কটি রক্ষা করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সড়ক ও জনপথের আঞ্চলিক প্রকৌশলী মোঃ সাকিরুল ইসলামকে নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা করা হয়। যৌথ আলোচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ১৯ জুলাই রবিবারে বালু চাতালগুলো উচ্ছেদ করা হবে। তবে সড়ক বিভাগ উচ্ছেদ অভিযানে দুইটি ভেকু ও অন্যান্য লজিষ্ট্রিক সাপোর্ট দিবে।
আলোচনা অনুযায়ী রোববার অভিযানের সময়ে সড়ক বিভাগের কোন প্রকার লজিষ্ট্রিক সাপোর্ট পায়নি উপজেলা প্রশাসন।
কোনা প্রকার সার্পোট না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সব্বির আহমেদ ও কর্মকর্তা ইনচার্জ আজিজুর রহমান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান খানের মাধ্যমে বালুর চাতালের কয়েকটি ভেকু নিয়ে অভিযানের পরিচালনা করে বালু চাতালের পাইপ লাইন ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন সহকারী কমিশনার আতিকুল ইসলাম (ভূমি), সড়ক ও জনপথের আঞ্চলিক প্রকৌশলী সাকিরুল ইসলাম, কাশিয়ানী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আজিজুর রহমান, কাশিয়ানী ইউ.পি চেয়ারম্যন মশিউর রহমান খান।