বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পল্লীতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে অন্ত:সত্ত্বা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৮ মাসের অন্ত:সত্ত্বা ওই কিশোরীর সন্তান (ভ্রুণ) নষ্ট করেছে।
উপজেলার থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে রফিকুল ইসলাম (৩২) নামের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে দেওতা গ্রামের মৃত নাদিম উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়ির পাশে একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছিল রফিকুল ইসলাম। আর এ সুযোগে ওই কিশোরীর সঙ্গে রফিকুল ইসলামের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে কিশোরী ৮ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার পর বিয়ের জন্য তাকে বার বার বলার পরও কোনো সাড়া মিলত না।
অবশেষে গর্ভের সন্তান (ভ্রুণ) নষ্ট করলে তাকে বিয়ে করবে বলে জানানো হয়। এই কৌশল করে রফিকুল ইসলাম গত ১৬ জুলাই অন্ত:সত্ত্বা কিশোরীর ভ্রুণ নষ্ট করে। এই ঘটনাটি জানাযানি হলে কিশোরী বাদী হয়ে গত রোববার (১৯ জুলাই) রাতে রফিকুল ইসলামকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। পুলিশ রাতেই সে মামলায় রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। সে মামলায় রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।