মহেশপুর থানা পুলিশকে না জানিয়ে গোপনে গোলাম হোসেন (৬২) নামে এক ব্যক্তির লাশ তড়িঘড়ি করে দাফনের ২০ দিন পর তা উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছে।আবেদনটি করেছেন মৃত গোলাম হোসেনের ফুফাতো ভাই শওকত আলী। তার দাবি, গোলাম হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে।
শওকত আলী জানান, গোলাম হোসেনকে মেরে তার লাশ তড়িঘড়ি করে দাফনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সেই কারণেই তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে লাশ উত্তোলন করার ব্যবস্থা নিতে আবেদনটি করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে গোলাম হোসেন লেবুতলা গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। প্রায় দিনই গোলাম হোসেনকে তার স্ত্রী, ছেলে ও শ্যালকরা মারপিট করতেন। গত ২৯ জুন দুপুরে শ্বশুর বাড়িতে বসবাসকারী গোলাম হোসেনকে মারপিট করা হয়। ৩০ জুন দুপুরে লেবুতলা গ্রামের রেজাউল ইসলামের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
আবেদনে বলা করা হয়েছে, পুকুর থেকে লাশ তুলে এনে তারা থানা পুলিশ বা কেনো আত্মীয়-স্বজনদেরকে না জানিয়ে তড়িঘরি করে লাশ দাফন করা হয়েছে। তা ছাড়া মৃত্যের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল।
মহেশপুর থানার এসআই আবুজার গিফারী বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন ও পুকুরের পানিতে লাশ ভেসে থাকতে দেখেছি। তবে তারা কী কারণে পুলিশে না জানিয়ে দাফন করলো তা আমার জানা নেই,’
মহেশপুর থানার কর্মকর্তা ইনর্চাজ (ওসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ হোসেন খান বলেন, ‘আমি অভিযোগটা পাওয়ার পরই থানার এসআই আবুজার গিফারীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। তবে তার স্ত্রীসহ সন্তানরা কেউ কোনো অভিযোগ দেননি।