জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ঐতিহাসিক পাথরঘাটার কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া তুলশীগংঙ্গা নদীর ব্রিজটি এখন জন সাধারণের জন্য মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। পাকিস্তান আমলে নির্মিত এ ব্রিজটির অনেক জায়গায় পাটাতনে ফাটল ও দু’পাশের রেলিং ভেঙ্গে গেছে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে উপজেলার মঠপাড়া, বিদ্দিগ্রাম, বেলপুকুর, সাড়ারপাড়, উচাই, কাশাবাড়ী, বাগড়া, কাঁটাপুকুর, নয়াপাড়াসহ আশে পাশের ১৫/২০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
কাঁটাপুকুর গ্রামের ছানোয়ার হোসেন, মঠপাড়া গ্রামের বিরেন চন্দ্র ও পীরপাল গ্রামের ফ্রান্সিস মার্ড্ডী বলেন, ১৯৫০ সালের দিকে ইটালিয়ান খৃস্টীয় মন্ডলীর বিদেশী ফাদার জভান্নী ভানজেত্তি পিমে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পাথরঘাটায় এসেছিল। সে সময় তিঁনি এলাকার খৃস্টানদের জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একটা প্রাথমিক ও মাধ্যমি বিদ্যালয় গড়ে তোলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তুলশীগঙ্গা নদী সাতরিয়ে পার হয়ে আসত। তাদের এমন কষ্টের কথা চিন্তা করে প্রথমে তিনি তাল গাছের বরগা ও বাঁশের খুটি দিয়ে যাতায়াতের সেতু নির্মাণ করেন। পরে পূর্ব এলাকার শিক্ষার্থী ও লোকজনের আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে ঐ ফাদার ১৯৫৭ সালে পাকা ব্রিজ নির্মাণ করেছিলেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় অর্ধশত বছর আগে নির্মিত এই ব্রিজের অর্ধেক রেলিং দীর্ঘদিন যাবৎ নেই। এছাড়াও ব্রিজের অনেক জায়গা ভাঁঙ্গা ও ফাঁটল ধরেছে। এমন ভঙ্গুর ব্রিজের উপর দিয়েই প্রতিদিন হাজারও পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী চলাচল করে। অপরদিকে ধান, ভারী মালামাল বোঝাঁয় ছোট পিকআপ, মেসি-ট্রাকটর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছ্।ে ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে আটাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আ স ম সামছুল আরেফীন আবু চৌধুরী বলেন, এটি বহু পুরানো ব্রিজ। নতুন ব্রিজের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেছি, পত্রও দিয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল কাইয়ুম বলেন, ঝুঁকিপূর্ন ব্রিজটির টেন্ডার প্রক্রিয়া করোনার কারণে আটকে আছে। করোনা পরিস্থি স্বাভাবিক হলেই কার্যক্রম শুরু হবে।