বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার তাফালবাড়ীয়া গ্রামের এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠেছে। প্রতিবেশী ইউসুফ হাওলাদার ওরফে ইউসুফ দোকানদারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৭ জুলাই রাত পৌনে ১১ টার দিকে।
প্রাপ্ত খবরে জানাগেছে, শ্লিলতাহানীর অভিযোগে অভিযুক্ত চরিত্রহীন ওই ইউসুফের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে রফা - দফা হয়েছে। ওই ইউসুফ দোকানদারের বিরুদ্ধে নারীলোভী-নারীআশক্ত সহ চরিত্রহীনতার একাধিক অভিযোগের পাশাপাশি চুরির অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তিনি এর আগে খলিফারহাট বাজারের অপর এক ব্যবসায়ীর তেলের ড্রাম চুরি করে ধরা পরেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ইউসুফ হাওলাদার (৫০) পাথরঘাটা উপজেলার খলিফারহাট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী ও তাফালবাড়ীয়া গ্রামের এন্তাজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় হাফিজুর রহমান হিরু ও বায়েজিদ আহম্মেদসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, খলিফারহাট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী ইউসুফ দোকানদার তাফালবাড়ীয়া গ্রামের প্রতিবেশী এক গৃহবধূর বাড়ীর আশপাশে রাতে ঘোরাঘুরি করতে ছিলেন। এ সময় ওই গৃহবধূকে ডাক দিলে ওই নারী ঘর থেকে বাইরে আসেন। এ সময় ওই নারীর সঙ্গে কথা বলার ছলে তাকে শ্লীলতাহানি করেন ইউসুফ দোকানদার। তবে ঘটনার আকস্মিক হওয়ায় ওই নারী হতবাক হয়ে পড়লে জোরে চিৎকার করেন। নারীর চিৎকারে তার ছেলেসহ স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। বাসিন্দারা ছুটে আসলে ইউসুফ দোকানদার দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে চারদিক থেকে ডাক চিৎকারে ইউসুফ নামের ওই দোকানদারকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। পরে তাকে ইউপি সদস্য আবদুর রহমানের বাডড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানতে চাইলে তাফালবাঢ়ীয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, তাফালবাড়ীয়া গ্রামের ওই গৃহবধূর বাডড়ীর পাশ থেকে দৌড়ে পালাতে যাওয়া ইউসুফ দোকানদারকে স্থানীয়রা আটক করে রহমান মেম্বারের বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয় পরে শুনেছি এক লাখ টাকায় রফাদফা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইউসুফ দোকানদার এর আগেও বাজারের তেলের ড্রাম চুরি ও শ্লীলতাহানিসহ বেশ কয়েকটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউসুফ হাওলাদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি ওই গৃহবধূর বাড়ীর পাশে গিয়ে ছিলাম তবে লোকজন দেখে দৌড় দিয়েছি এর বেশি কিছু নয়।
টাকার বিনিময় রফাদফা বিষয়টি অস্বীকার করে চরদুয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আবদুর রহমান বলেন, স্থানীয় লোকেরা ইউসুফ দোকানদারকে ধরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আমার কাছে নিয়ে আসেন।