হেরিডিটি বলতে একটি শব্দ আছে। যার অর্থ মজ্জাগত। বহুদিন ধরে দুর্নীতি, অনিয়ম, প্রতারণা আমাদের শরীরের রন্দ্রে, রন্দ্রে এমনভাবে বাসা বেধেছে যেন মজ্জাগত রূপধারণ করেছে। যা ডায়াবেটিস ও উইপোকার মতো তিলে তিলে সবকিছু অচল করে দিচ্ছে। দেশের মানুষ দুর্নীতি, অনিয়ম, প্রতারণা, বেসামাল কিছু আর দেখতে ও শুনতে চায় না।
মানুষ প্রত্যাশা করে দুর্নীতি, প্রতারণা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে চোখ মুজে কঠোর এ্যাকশন। যার কোনো তদবির, সুপারিশ ও বিকল্প কিছু নেই। দেশের আনাচে, কানাচে প্রতিদিন কত যে অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা হচ্ছে এর যেন শেষ নেই। যখন কিছু কিছু বড় ধরণের দুর্নীতি, অনিয়ম ও প্রতারণা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়ে থাকে তখন এসব নিয়ে হৈ হুল্লুড় ও লেখালেখি দৃশ্যমান হয়ে থাকে। কিছু দিন পর এ ট্রেন্ড আবার হাওয়া হয়ে যায়। যাকে অনেকেই ভূতের আগুন, আলেয়া ও শ্মশানখলার শয়তানের আগুন বলেও মনে করে থাকে। যা একটি স্বাধীন দেশের মানুষের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ও দুর্ভাগ্যই বলা চলে।
সরকারের সদইচ্ছায় ক্যাসিনোর রাঘব বোয়াল বা গডফাদারদের ধরা হয়েছে। ইহা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলা চলে। এ ব্যাপারে কয়েকদিন গণমাধ্যম, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিরিস্থির শেষ থাকেনি। কিন্তু ক্যাসিনোর গড ফাদাররা যাদের নাম বলে গেছে, এ সমস্ত নাটের গুরুদের এ পর্যন্ত কিছু না হওয়াতে মানুষ অনেকাংশে উৎসাহ উদ্দীপনা হারাতে বসেছে। হয়তো এমনিভাবে চললে আর কিছুদিন পর এসব যদি ধামাচাপা পড়ে যায় তবে হয়তো বলার কিছু নাও থাকতে পারে। এছাড়া জেল গেইট থেকে ক্যাসিনোর গডফাদারদেরকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে অনেকেই মনে করে থাকে। এদেশে সব কিছু সম্ভব।
আজ কিছুদিন ধরে যার দুর্নীতি, বেলাল্লাপনা, প্রতারণা, অনিয়ম, ক্ষমতার দাপট নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের সাহেদ করিম ওরফে সাহেদকে নিয়ে যে সংবাদ, প্রতিবেদন ও লেখালেখি হচ্ছে তাও একসময় আলেয়া বা ভূতের আগুনের মতো নিভে গেলে হয়তো পুরনো কাগজগুলোর শিরোনাম উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু হয়তো নাও থাকতে পারে। যদিও ইতোমধ্যে সাহেদ ধরা পড়েছে।
প্রতিদিন সাহেদের আমলনামা দেখলে আশ্চর্য হয়ে যেতে হয়। মাথা হেট হয়ে যায়। সাহেদ এতদিন ধরে দুর্নীতি, প্রতারণা করে গেলেও ধরা না পড়ার ব্যাপারে রয়েছে অনেকের অনেক অভিমত। তবে যে বিষয়টি নিয়ে সাহেদের এতসব কিছু প্রকাশিত হচ্ছে, তা হচ্ছে উত্তরার রিজেন্ট ও মিরপুর রিজেন্ট হাসপাতালে করোনার পিসিআর পরীক্ষায় অনিয়ম, দুর্নীতি,
জালিয়াতি ও ভয়াবহ কেলেংকারী নিয়ে যা মাফিয়া ডনদেরকেও হার মানায়। আমার এ লেখালেখি দেখে কলেজ শিক্ষিকা মেয়ে বললো, আব্বু নাওয়া খাওয়া ছেড়ে যা নিয়ে লেখছ ওদেরতো আসলে কিছু হয় না। ওদের হাত অনেক লম্বা। আমি বললাম মা মনি, দেশের জ্ঞানী, গুণী, বুদ্ধিজীবি ও প্রথিতযশা দেশবরেণ্য সাংবাদিকসহ অনেকেই লেখছে। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে মনের জ্বালা, যন্ত্রনা, ক্ষোভ ও বেদনা সংবরণ করতে না পেরে আমিও লিখে যাচ্ছি। একটা সময় আসবে তাদের কৃতকর্মের শাস্তি পেতেই হবে। ঝরহহবৎ পধহ হবাবৎ মড় ঁহঢ়ঁহরংযবফ অর্থাৎ পাপী কখনও শাস্তি ছাড়া দুনিয়া থেকে বিদায় হয় না। ইতিহাস বড়ই নিষ্ঠুর, নির্দয় কাহাকেও ক্ষমা করে না।
দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কঠোর নির্দেশনার পরও দেশে যা ঘটছে তা দেখে যে কারও মনে হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না কেন। ওরা এত সাহস পায় কোথায় ? নিশ্চয়ই ওদের পেছনে এমন ক্ষমতার ম্যাগনেট রয়েছে যা হয়তো আমার মতো অনেকেরই না জানারই কথা। বঙ্গবন্ধুও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাল ঘোড়া দাবরানো এবং এক সময় অতিষ্ট হয়ে চোরের দল, চাটার দল ও চোরের খনি বলতে দ্বিধাবোধ করেনি। “জনক্ষোভ আমলে না নেয়ার ফল ভালো হয় না” শিরোনামের কলামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ.কে.এম শাহনাওয়াজ বিশদ বর্ণনাসহ উপস্থাপন করেছেন (যুগান্তর ১৪/৭/২০২০ ইং)। প্রকাশিত কলামটি আমি বারবার পড়েছি। তাতে আমার যে উপলব্ধি হয়েছে, তা বাস্তবতার দিক দর্শনের আলোকে একটি অভিমত হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে এর চেয়ে বেশী কিছু আর বলতে চাচ্ছি না।
রিজেন্ট হাসপাতালটি উত্তরার ১১ নং সেক্টরের ১৭ নং রোডে এবং রিজেন্টের অপর হাসপাতালটি মিরপুর পল্লবীর ১৪ নং রোডের ১১ নং বাড়ীর ৬ তলার ৫ তলাটি হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। কিন্তু দুটি হাসপাতালের একটিতেও করোনা ভাইরাস পরীক্ষার পিসিআর মেশিনসহ অনেক প্রয়োজনীয় ইকুপমেন্ট ছিল না। তারপরও মনগড়া করোনা ভাইরাস পরীক্ষার পজিটিভ, নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে প্রচুর অর্থ আদায় করা হয়ে থাকে বলে জানা যায়।
জানা যায়, রিজেন্ট হাসপাতাল ১০ হাজার জনের করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে থাকে। এর মধ্যে আইইডিসিআর, আইটিএইচও এবং নিপসম ৪ হাজার ২০০ রোগীর পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয়েছে। তন্মধ্যে ৬ হাজার রোগীর কোনো টেস্ট করা হয়নি। ভূয়া মনগড়া পজিটিভ, নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিয়ে প্রতিজনের কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। যার পরিমান ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অপরদিকে করোনা টেস্টের কথা বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ২ কোটি টাকার বিল দাখিল করেছে।
রিজেন্ট হাসপাতালের প্রবেশ পথে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাবেক আইজিপি ও সাবেক র্যাব মহাপরিচালকের সাথে সাহেদের হাস্যোজ্জ্বল ফটো ঝুলছে। এছাড়াও অনেক মন্ত্রীর সাথেও সাহেদের ফটো ঝুলছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। সাহেদ অর্থ লিপ্সু, ধুরন্ধর, প্রতারক ও পাষন্ড প্রকৃতির লোক বলে জানা যায়। নিজেকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সদস্য বলে দাবী করতো। মাঝে মাঝে টকশোতেও আসত। তার ফেসবুক পেজ ও ভিজিটিং কার্ডেও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ থাকার কথা রয়েছে। সাহেদ ১১টি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ১টি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিত। ভিজিটিং কার্ডে এ পরিচয় রয়েছে। এই পরিচয়ে প্রতারণা করে অসংখ্য ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকেও সে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভিজিটিং কার্ডে প্রদর্শিত ১১টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, সেন্টার ফর পলিটিক্যাল রিসার্চ রিজেন্ট গ্রুপ, রিজেন্ট হাসপাতাল লিঃ উত্তরা, রিজেন্ট হাসপাতাল লিঃ মিরপুর, চেয়ারম্যান, ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ, রিজেন্ট ডিজাইন এন্ড ডেভেলপারস লিঃ, সম্পাদক, দৈনিক নতুন কাগজ, আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, সহ-সভাপতি ন্যাশনাল প্যারা অলিম্পিক এসোসিয়েশন, এছাড়া বিভিন্ন সংস্থার এজেন্ট হিসেবেও পরিচয় দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ করোনা ভাইরাস কোভিড- ১৯ পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো সরকারি বেসরকারি হাসপাতালকে পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা বা চুক্তি করার আগে সেই হাসপাতাল সরেজমিনে পরিদর্শন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, হাসপাতালের অনুমতি, জনবল, ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ ইত্যাদি কার্যক্রম পর্যালোচনা করে কোভিড পরীক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে মর্মে অধিদপ্তরের মনঃপূত হলেই করোনা ভাইরাস কোভিড পরীক্ষার সুযোগ দেয়ার কথা। কিন্তু রিজেন্ট হাসাপাতালে পরীক্ষার অন্যতম পিসিআর মেশিনই ছিল না। তারপরও ২১ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রিজেন্ট হাসপাতালকে কোভিড পরীক্ষার অনুমতি দিয়ে একটি চুক্তি করে থাকে।
এছাড়া চুক্তিপত্রে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বলতে একটি কথা রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানতে চেয়েছে সেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে কী বুঝানো হয়েছে। ইহারও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে (যুগান্তর ১৩/৭/২০২০ ইং)। সাহেদের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীসহ অসংখ্য অভিযোগের কথা জানা যায়। অর্থাৎ সাহেদ করেনি এবং পারেনি এমন কিছু অবশিষ্ট নেই। সাহেদের পেটটা যেন দুর্নীতি প্রতারণার বাক্স তেমনি সাহেদের পেটে রয়েছে করোনা ভাইরাসের পিসিআর মেশিনসহ অন্যান্য ইকুপমেন্ট (যন্ত্রপাতি)। তা না হলে রিজেন্ট হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি না থাকার পরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কী করে করোনা
পরীক্ষার অনুমতি দিল। ঢাকা শহরে আরও বিশেষায়িত হাসপাতাল থাকার পরও কী করে রিজেন্ট ও জেকেজি হাসপাতালকে অনুমতি দেয়া হলো। ইহাই অনেকেরই প্রশ্ন।
অনেকেরই ধারণা রিজেন্ট এবং জেকেজি হাসপাতালকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেয়ার পেছনে একটি মাফিয়া চক্র বা নাটের গুরুদের সংশ্রব রয়েছে। কারণ নাটের গুরুদের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় কাজ করার সুযোগ না পাওয়ারই কথা।
প্রতারক সাহেদ এতদিন ধরে ভয়ংকর প্রতারণা করে ভিজিটিং কার্ডে ১১টি পরিচয় বহনসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ নামীদামী ব্যক্তিদের হাঁসিমাখা সংযুক্ত ফটো হাসপাতালের প্রবেশ পথে কী করে লাগিয়ে রেখে ছিল ইহাই অনেকের প্রশ্ন। তাছাড়া যেহেতু তাহার হাসপাতালে করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় পিসিআর মেশিনসহ আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি নেই তাহলে এমন একটি হাসপাতালকে কী করে কোভিট পরীক্ষার অনুমতি দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাতে দেখা যায়, সবকিছুতে অনিয়মের পাহাড়।
হাজার হাজার মানুষকে রিজেন্ট ও জেকেজি কোভিট পরীক্ষার ভূয়া পজিটিভ ও নেগেটিভ পরীক্ষার ফলাফল দিয়ে যে সর্বনাশ করেছে এই অপরাধের যেন শেষ নেই। গণমাধ্যমে এ সমস্ত খবর দেখে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া কারও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আমলে নিতে চায় না। এতে নারপিশাচরা বিদেশে আমাদের মানমর্যাদা ও ভাবমুর্তি যে কোথায় নিয়েছে তার যেন শেষ নেই। এছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে যে কত ধরণের প্রতারণা ও জালিয়াতি হচ্ছে এসবের খবর রাখেই বা কজনা।
কুমিল্লায় ১৯ করোনা রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে সাড়ে ৫ কোটি টাকা বিল দাবী করেছে এএফসি হেলথ ফর টিস হার্ট ইন্সটিটিউট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জেলা স্বাস্থ্য কমিটির অনুরোধে মাত্র ২২ দিন ১৯ রোগীকে এ হসপিটালের ফ্লোর ব্যবহার করতে দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এমন ভূতুড়ে বিল দাখিল করা হয়। এছাড়া ওই ১৯ রোগীকে চিকিৎসা সেবার বিল হিসেবে পুণরায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছেও ১২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৬ টাকা বিল দাবী করা হয়। প্রতারণার মাধ্যমে দুই জায়গা থেকে বিল নেয়ার খবর জানাজানি হওয়ার পর সর্বমহলে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় (যুগান্তর ১৮/৭/২০ ইং)
শুধু সাহেদকেই নহে এর সাথে জড়িত প্রত্যেককে আইনের কাঠগড়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দরকার। যারা টাকার জন্য মানুষের জীবন নিয়ে চিনিমিনি খেলে, করোনা সংক্রামন বাড়ায় ওরা যেমনি অমানুষ তেমনি দানব, রাক্ষস, মানুষ খেকো বাঘ ও হায়েনাদের চেয়েও অধম। ওদের কোনো জাত নেই, দল নেই, দর্শন নেই এমনকি ধর্মও থাকার কথা নয়।
সাহেদের মতো এমন অনেক ভয়ংকর প্রতারক টাকা খেকো দানব পেটে পিসিআর ও প্রতারণার বাক্স রয়েছে। যাদের মুখোশ আজও উন্মোচন ও আলোর মুখ দেখেনি। দানবদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার এখনই সময়। সময় ও নদীর স্রােত কারও জন্য অপেক্ষা করে না।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় এ নিয়ে কোথাও না কোথাও সিদ্ধান্তহীনতা, অনিয়ম ও ফাঁকফোকর রয়েছে। তা না হলে একটি ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে নতুন করে আরও ঘটনা এসে উপস্থিত হয় কেন ?
করোনার পিসিআর মেশিন শুধু সাহেদের পেটেই নয় আরও যাদের পেটে লুকিয়ে আছে ওদের প্রত্যেককে কাঠগড়ায় এনে বিচারের সম্মুখীন করা জন প্রত্যাশা। ওরা দেশ, জাতি ও জনগণের শত্রু। র্যাব অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করার সংবাদ পেয়ে যে সাহেদ করিম ওরফে সাহেদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ফোন করে কথা বলে থাকে, সেই সাহেদকে কারও হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। যুগে যুগে সাহেদ, সম্রাট ও শামীমরাই দেশের বারটা বাজাচ্ছে। ওদের পেছনে কেউ না থাকলে মাসের পর মাস রোগী সেজে বিএসএমএমইউতে কী করে রাজার হালে থাকে। দুদিন পর সাহেদও বিএসএমএমইউতে রোগী হিসেবে আসন বসালে করার কিছু হয়তো নাও থাকতে পারে।
এ.কে.এম শামছুল হক রেনু
লেখক কলামিষ্ট