নীলফামারীর সৈয়দপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও র্যাবের অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ৪ হাজার কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন। উৎপাদন ও বাজারজাত করার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুুর জেলা কার্যালয়ের গোপন অনুুসন্ধানে জানতে পারে যে সৈয়দপুর শহরের চাঁদনগর এলাকার পলিথিন ব্যবসায়ী আসলামের ছেলে তারিক ইকবাল তার বসত বাড়িতেই গোপনে কারখানা স্থাপন করে বিভিন্ন নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করেন। তার উৎপাদিত পলিব্যাগ, পিপি ব্যাগ শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক রোডস্থ মদীনা মোড়ের দোকান থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন বাজারসহ দেশের অনেক স্থানেই বাজারজাত করা হয়ে থাকে। এ তথ্যের ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুুর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক কাজী সাইফুদ্দিন এর নেতৃত্বে র্যাব-১৩, নীলফামারী সিপিসি-২ এর সহকারী পুলিশ সুপার ইমরান খানের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রমিজ আলম। অভিযানকালে চাঁদনগরে আসলামের বাড়ির ভিতরে পলিথিন উৎপাদন কারখানায় বিপুল পরিমান পলিথিন উদপাদনের প্রধান উপকরণ দানাদার পাউডার ১ হাজার ৭৫ কেজি, নিষিদ্ধ পলিথিন (রোলসহ) ২ হাজার ৫শ’ কেজি এবং পলিব্যাগ ৪শ ২৫ কেজি জব্দ করা হয়। কারখানার মালিক আসলামের ছেলে তারিক ইকবালকে ভ্রাম্যমান আদালতের র্নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্রেট রমিজ আলম ১৯৯৫ সালের পরিবেশ আইন ১৫/১ক্রমিকের ৪ ধারা মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদ- প্রদান করেন। এতে তাৎক্ষনিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে রেহাই পায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনকারী।
র্নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রমিজ আলম বলেন, পরিবেশের জন্য চরম ক্ষতিকারক নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বিপননের দায়ে তারিক ইকবালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে পলিথিন উৎপাদন ও বিক্রি করলে কঠোর আ্ইনের আওতায় আনা হবে।