কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুত্রের নির্যাতনে অতিষ্ঠ বাবা- মা এবং পরিবার নিয়ে বসত ভিটা ছাড়া ভাই ও তার পরিবার। গত কয়েকদিন ধরে পুত্রের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোথাও বিচার না পেয়ে এখন দিশেহারা। শুধু তাই নয় অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বড় পুত্র ও পরিবার নিয়ে এখন বাড়ি ছাড়া বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিত বাবা-মা। ঘটনাটি কুলিয়ারচর উপজেলার ছোট ছয়সূতি গ্রামে চন্দন কুমার দাসের বাড়িতে। এলাকাবাসিরাও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পারিবারিক বিষয় বলে এগিয়ে আসতে চায়নি। নির্যাতিত বৃদ্ধ চন্দন কুমার (৭৪) ও তার স্ত্রী উমারানী দাস ( ৬৫)অভিযোগ করে বলেন, তাদের পুত্র উদয় চন্দ্র দাস তাদেরকে নানাভাবে নির্যাতন করছে সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য। পুত্রের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কৃষি জমি বন্টন করে বড় পুত্র সৌরভ ও ও তার ছোট পুত্র উদয় কে সমহারে বন্টন করে লিখে দেওয়া হয়েছে। তারপর উদয় সে তার জমি বিক্রি করে দিয়েছে। কিন্তু এখন বসতবাড়ি লিখে দেয়ার জন্য নির্যাতন করছে। সে ঘর থেকে ধান,পাট ও টাকাণ্ডপয়সা জোর করে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া গোয়ালঘর ভেঙে নিয়ে গেছে। শুধূ তাই নয় সে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী দেবীদাস ওরফে পুজাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। তার নির্যাতনে তারা এখন বসতবাড়ি ছেড়ে নরসিংদীতে আশ্রয় নিয়েছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আমি বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছি। এছাড়াও ভৈরব র্যাব ক্যাম্পে ও অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে সৌরভ দাস অভিযোগ করে বলেন,তার অত্যাচার ও নির্যাতনে আমি পরিবার নিয়ে বাড়ি ছাড়া। সে আমার স্ত্রীকে মারধোর করে আহত করেছে এবং আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। শুধু তাই নয় গত ১০/১২ বছর যাবৎ সে বাবা-মা সহ আমাদেরকে নির্যাতন করছে
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জহির মিয়া,খলিল মিয়া ও খোকন মিয়া জানান, উদয়কে সম্পত্তি লিখে দিয়েছিল। কিন্তু তারপর ও সে তার বাবা-মাকে নির্যতন করে । এ বিষয়ে এলাকায় অনেকবার সালিসী বৈঠক ও হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উদয় চন্দ্র দাস জানান, আমাকে কৃষি জমি লিখে দিয়েছে। আমার বড় ভাইকে বসত বাড়ি লিখে দিয়েছে কিন্তু বসতবাড়ি থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছে। অত্যাচার নির্যাতনের বিষয়ে সে জানান,ধান-পাট ঘর থেকে নিলে ও সেগুলো ফেরত দিয়েছি। গোয়াল ঘর ভেঙে নেওয়া ও দেবী রানীকে মারধোরের কথা স্বীকার করে বলেন এজন্য তো আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগ দিয়েছে থানায়।