করোনা ভাইরাসের এ সংকটময় সময়ে নীলফামারীর ডোমার পৌরসভা এলাকার ২ নং চিকনমাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ডেকে ৪০ প্যাকেট করে বিস্কুট বিতরন করা হয়েছে। রোববার সকাল হতে দুপুর এক টা পর্যন্ত কোন স্বাস্থ বিধি না মেনে জমায়েত করে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিস্কুট বিতরন করেন প্রধান শিক্ষিকা আয়শা সিদ্দিকা। ছাত্রছাত্রীরা বিস্কুট নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষিকা তাদের আসতে বলেছে বলে জানায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষকা বলেন, তিনি অভিভাবকদের আসতে বলেছেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকার বন্ধ রেখেছে। স্কুল ফিডিং প্রকল্পের বিস্কুট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষকদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি এক সাথে ৪০/৫০ প্যাকেট করে পৌঁছে দিচ্ছে সারাদেশে। কিন্তু চিকনমাটি ২ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে ডেকে জমায়েত করে বিস্কুট দেয়া হয়। ওই সময় অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর মুখে মাক্স ছিল না। কিছু অভিভাবকও ছিল, তারাও মাক্স পরে নাই।
পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী সেতু মনি, মাসুম ইসলাম, রুম্মান রহমান, চতুর্থ শ্রেনীর শরিফুল, তৃতীয় শ্রেনীর সাকিব ও প্রথম শ্রেনীর ছাত্র নিশাত জানান, আমাদের পিয়ন কাকু বাড়ি গিয়ে আমাদের ২৬ জুলাই সকালে বিদ্যালয়ে ব্যাগ নিয়ে বিস্কুট নেওয়ার জন্য আসতে বলেছে। হেড ম্যাডাম পিয়ন কাকুকে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়েছে। এজন্য আজ আমরা বিস্কুট নিতে এসেছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা আয়শা সিদ্দিকা জানান, স্কুল ফিডিং প্রকল্পের কর্মকর্তা আমাকে অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে ডেকে বিস্কুট দেওয়া কথা বলেছে। আমি সেই অনুযায়ী অভিভাবকদের আসতে বলেছি।
স্কুল ফিডিং প্রকল্পে কো-অর্ডিনেটর আনন্দ পালের সেল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমীর হোসেন জানান, বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের ডেকে বিস্কুট দেওয়ার নিয়ম। ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে ডেকে বিস্কুট দেওয়া যাবে না।