তানোরের আদিবাসী সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রধান মন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঘর ও জমি বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাষ দিয়েছেন তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো।
গত (২৫ জুলাই) শনিবার দৈনিক সোনালী সংবাদ পত্রিকায় ‘দশ বছরেও বসতবাড়ি নিজের নামে করতে পারেননি মুক্তিযোদ্ধা নাইকা মার্ডি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
উক্ত সংবাদটি তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো’র নজরে আসলে তিনি (২৮ জুলাই) মঙ্গলবার রাতে প্রধান মন্ত্রীর উপহার খাদ্যসামগ্রী নিয়ে মোহাম্মদপুর আদিবাসি পাড়াস্থ্য খাস জমিতে বসবাসরত আদিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাইকা মার্ডির বাড়িতে গিয়ে এ আশ্বাষ দেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন তানোর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্বীকৃতি প্রামাণিক।
এনিয়ে নাইকা মার্ডি ইউএনও’র এমন অশ্বাষে বলেন, অনেক আগেই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছিলাম, স্বাধীনতা যুদ্ধে লাল-সবুজের পতাকা অর্জনে বেশ অবদান ছিল। আজ মনে হচ্ছে তার অর্জন বৃথা যায়নি। এতদিন পর হলেও ইউএনও’র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঘর ও জমি বরাদ্দ পাচ্ছি। এতে আমি ও আমার পারিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ভীষণ খুশি।
প্রসঙ্গ, তানোর উপজেলার মোহাম্মদপুর আদিবাসী পাড়ার সকলের মত নাইকা মার্ডিও সরকারী খাস জমির ৪শতক জমিতে স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই বাড়ি-ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন। বর্তমানেও তিনি ওই বাড়িতেই ৪ ছেলে নিয়ে বসবাস করছেন।
সরকারী খাস জমিতে তৈরি বাড়ির মাত্র ৪শতক জমি নিজের নামে বন্দবস্ত করতে গত ১০বছর ধরে ভুমি অফিসে ধর্না দিয়েও নিজের নামে করতে পারেননি। তার এমন আক্ষেপের উপর একটি সংবাদটি প্রকাশিত হয়।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ‘সংবাদটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পক্ষ থেকে একটি দূর্যোগ সহনীয় ঘর ও সরকারি খাস জমি বন্দোবস্থ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন (২৮জুলাই) মঙ্গলবার রাতে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে গিয়ে প্রধান মন্ত্রী উপহার সামগ্রী তার হাতে তুলে দিয়ে তাকে এই আশ্বাষ দেয়া হয়েছে।