কসবায় নিখোঁজের চারদিন পর গত বুধবার (২৯ জুলাই) বিকালে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামে বন্যার পানিতে ভাসমান কচুরীপানার মধ্যে থেকে জাহাঙ্গীর মিয়া (৪০) নামক এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকালে (৩০ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী রেজিয়া বেগম। নিহত জাহাঙ্গীর মিয়া কসবা পৌর শহরের আকুবপুর এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (২৬ জুলাই) রাত ৮টায় তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল নামক এক ব্যক্তি জাহাঙ্গীরকে ডেকে নেয়। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। গত চারদিন ধরে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজে না পেয়ে তার স্ত্রী গত ২৮ জুলাই কসবা থানা একটি সাধারন ডায়েরী করেন। পরে গত বুধবার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া-অনন্তপুর সড়ক থেকে কয়েকশ গজ দুরে বন্যার পানিতে ভাসমান কচুরীপানা মধ্যে একটি লাশ ভেসে উঠার খবর পায় জাহাঙ্গীরের স্ত্রী। পরে ঘটনাস্থল গিয়ে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রেজিয়া বেগম ও বড় ভাই মোসলেম মিয়াসহ পরিবারের অন্য লোকজন লাশটি জাহাঙ্গীরের লাশ বলে সনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ বিকালে লাশটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের স্ত্রী রেজিয়া বেগম ও তার বড় ভাই মোসলেম মিয়া বলেন, তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল রাতের বেলায় তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তারা জানান, একই গ্রামের মজিদ, করিম, সাত্তারগংদের সাথে তাদের পরিবারের সামাজিক বিরুদ রয়েছে। তারা নৃশংস এ খুনের তদন্ত পূর্বক দ্রুত বিচার দাবী করেছেন।
ইসামইলের স্ত্রী অরুনা জানায়, তার স্বামী একজন রাজমিস্ত্রী। তার স্বামী এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের লাশটিতে পচন ধরে যাওয়ায় সুরোতহালে কিছুই বুঝা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহত জাহাংগীর একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ছিলো। কসবা থানায় তার নামে ৪টি মাদক মামলা রয়েছে।