গোপালগঞ্জের নদণ্ডনদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। বন্যার আশঙ্কা করছেন জেলার বিভিন্ন গ্রামবাসী। ইতোমধ্যে সদর উপজেলাসহ কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলার অন্ততঃ ৫ ইউনিয়নের ১০গ্রামের নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। রাস্তা-ঘাটও তলিয়ে গেছে এসব এলাকার। কাশিয়ানী উপজেলার সিংগা ইউনিয়নের সিংগা হাইস্কুল ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৫০ টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে এবং সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের ১৫টি পানিবন্দি পরিবার উলপুর হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।
জানাগেছে, সদর উপজেলার উলপুর,নিজড়া, হরিদাশপুর ইউনিয়ন, কাশিয়ানী উপজেলার সিংগা ও হাতিয়াড়া মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা, দিগনগর, উজানী, কাশালিয়া ইউনিয়নের এসব গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
মুকসুদপুর উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা তাসলিমা আলী জানান আমাদের কিছু এলাকা বন্যা দুর্গত হয়েছে। সেই এলকার সরকারি প্রাইমারি স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে। ওই স্থানে দুর্গতদের মাঝে খাদ্য সামগ্রি সহায়তা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুর্গত বেশ কিছু মানুষ জনের মধ্যে চাল ও শুকনা খাবারসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনোয়ার হোসেন উপস্থিত থেকে এসব খাদ্য সহায়তা বিতরন করেন।
মধুমতি নদীর পানি বিপদ সীমার ৪৯ সেন্টিমিটার এবং বিল রুট ক্যানেলের পানি ৩০সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে দূর্গতদের সাহায্যের জন্য দেড়শ’ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানিয়েছেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রান দেয়া শুরু হয়েছে। সার্বক্ষনিকভাবে জেলার সর্বত্র খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।