পল স্টার্লিং ও এন্ডু ব্যালবির্নির জোড়া সেঞ্চুরিতে শেষ ওয়ানডেতে স্বাগিতক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে পাশবর্তী আয়ারল্যান্ড। অধিনায়ক ইয়োইন মরগানের সেঞ্চুরিতে সাউদাম্পটনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৩২৮ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় ইংল্যান্ড। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করে আয়ারল্যান্ড। ওপেনার স্টার্লিং ও অধিনায়ক ব্যালবির্নির জোড়া সেঞ্চুরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটে মধুর এক জয়ের স্বাদ নেয় আয়ারল্যান্ড। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে সক্ষম হয় আইরিশরা। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের মরগান ১০৪, আয়ারল্যান্ডের স্ট্রার্লিং ১৪২ ও বলব্রিনি ১১৩ রান করেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন স্ট্রার্লিং ও সিরিজ সেরা হন ইংল্যান্ডের ডেভিড উইলি। সাউদাম্পটনে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় আয়ারল্যান্ড। এবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ডের টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। জেসন রয় ১, জনি বেয়ারস্টো ৪ ও জেমস ভিন্স ১৬ রান করে ফিরেন। ৪৪ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক মরগান ও টম ব্যান্টন। চতুর্থ উইকেটে ১৪৬ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে খেলায় ফেরান তারা। ব্যান্টন ৫৮ রানে থামলেও, ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি তুলে নেন মরগান। সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি তিনি। ১৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৮৪ বলে ১০৬ রান করে আউট হন মরগান। ইনিংসের শেষ দিকে উইলি ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪২ বলে ৫১ ও টম কারান ৫৪ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করেন। তারপরও ১ বল বাকী রেখে ৩২৮ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডের ক্রেইগ ইয়ং ৩ উইকেট নেন। ম্যাচ জয়ের জন্য ৩২৯ রানে টার্গেট পায় আয়ারল্যান্ড। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এত বড় রানের পাহাড় টপকে জয়ের পাবার নজির আছে আয়ারল্যান্ডের। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে ৩২৭ রান করেছিলো ইংল্যান্ড। ৩২৮ রানের টার্গেট ৫ বল বাকী রেখে জয়ের রেকর্ড গড়েছিলো আয়ারল্যান্ড। ঐ ম্যাচে কেভিন ও’ব্রায়েন ৬৩ বলে ১১৩ রান করেছিলেন। নয় বছর আগের স্মৃতিকে আবারো ফিরিয়ে আনলেন স্টার্লিং ও অধিনায়ক ব্যালবির্নি। রানের পাহাড় টপকাতে শুরুটা ভালোই হয়েছিলো আয়ারল্যান্ডের। আরেক ওপেনার গ্যারেথ ডিলানির সাথে ৯ ওভারে ৫৪ রান যোগ করেন স্ট্রার্লিং। ডিলানি ১২ রানে বিদায় নেন। এরপর আয়ারল্যান্ডের জয়ের ভিতটা গড়েন স্টার্লিং ও ব্যালবির্নি। ইংল্যান্ডের বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে দলের স্কোর আড়াইশ অতিক্রম করান তারা। দু’জনই তুলে নেন সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে রান আউট ওয়ার আগে ৯টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১২৮ বলে ১৪২ রান করেন স্টার্লিং। দ্বিতীয় উইকেটে ব্যালবির্নির সাথে ১৯৭ বলে ২১৪ রান যোগ করেন তিনি। দলীয় ২৬৪ রানে স্টার্লিংএর বিদায়ের পর ফিরেন ব্যালবির্নিও। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া ইনিংসে ১২টি চারে ১১২ বলে ১১৩ রান করেন তিনি। ২৭৯ রানের মধ্যে স্ট্রার্লিং ও ব্যালবির্নি বিদায় নিলে আয়ারল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন হ্যারি টেক্টর ও কেভিন ও’ব্রায়ান। চতুর্থ উইকেটে ৩৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫০ রানের জুটি গড়ে আয়ারল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন তারা। টেক্টর ২৯ ও ও’ব্রায়ান ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। এই সিরিজটি ছিলো আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম সুপার লিগ। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ২০ পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিলো ইংল্যান্ড। আর শেষ ম্যাচ জিতে নিজেদের পয়েন্টের খাতা খুললো আয়ারল্যান্ড। তাদের পয়েন্ট ১০।