ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ইনারা বেগম। নিহত মেহেদী হাসান রনির মা। ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে প্রায় ছয় ঘন্টা অচেতন ছিলেন তিনি। জ্ঞান ফিরিয়ে আসলেও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। হাউ মাও করে কেঁদে ওঠেন। ছেলের অকাল মৃত্যু কোনভাবে মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তার ছেলে তাকে ফোন দিতে বারণ করেছিল কেন, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বার বার।
কান্না জড়িত কন্ঠে মেহেদী হাসান রনির মা বলেন, ছেলেকে তো আর জীবিত ফেরত পাব না। শেষ বারের মত তার মুখটা আমি একবার দেখতে চাই। পরিবারের লোকজন জানায়, ঈদের দিন রাতেও ফোন করে সবার খোঁজ খবর নিয়েছিল। এটাই যে শেষ ফোন হবে তা কে জানত। তার বাবা কয়েক বছর যাবত অসুস্থ। ঠিকমত কাজকর্ম করতে পারে না। এ ছাড়া তাদের জমানো টাকা কিছুই নেই। ধার দেনা করে অনেকটা জর্জড়িত। এ দিকে সন্তান হারানোর বেদনা অন্যদিকে ভবিষ্যৎতের চিন্তায় হতাশা ভুগছে পরিবারের লোকজন।
উল্লেখ, গত মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের ভাদেশ্বরা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান রনি।