মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় শিমুলিয়া ফেরীঘাট এলাকায় পদ্মার ভাংগন অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহের অব্যাহত ভাংগনে এবং তীব্র স্্েরাতে শিমুলিয়ার ২ টি ফেরী ঘাট এবং কুমারভোগে পদ্মা সেতুর ইয়ার্ডে দ্বিতীয় বারের মতো ব্যাপক এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বাঁশ, জিউ ব্যাগ ফেলে ভাংগন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। একদিকে ভাংগন রোধের শত শ্রমিক রাত-দিন চেষ্টা চালাচ্ছে অপরদিকে ভাংগনধারা অব্যাহত রয়েছে।এমতাবস্থায় দ্রুত স্থায়ীভাবে নদী শাসন না করলে আগামীতে পদ্মা সেতুর পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং নদী ভাংগনে হুমকিতে থাকা ১ নম্বর ও ২ নম্বর ফেরী ঘাট সহ বিআইডব্লিউটিসি ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।এতে দক্ষিণাঞ্চলের যাতায়াতে ব্যস্ততম এ নৌ-রুট বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে,প্রমোত্ত পদ্মার করাল গ্রাসে শিমুলিয়ায় কাঠালবাড়ী -শিমুলিয়া নৌরুটের ৩ নম্বর ফেরীঘাট ৩১ জুলাই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত ৪ আগস্ট আবারো আকস্মিক ভাংগনে ৪ নম্বর ফেরীঘাট এবং কুমারভোগের পদ্মা সেতুর ডকইয়ার্ডও প্রায় ১০০মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।এতে পদ্মাসেতুর মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।পদ্মার অব্যাহত ভাঙ্গনে ফেরীঘাট এলাকায় পদ্মা নদী প্রায় ৬শত ফুট ভিতরে ঢুকে পড়েছে।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায় ২ নম্বর ঘাট থেকে ২ শত মিটার দূরে নদী ১ হাজার মিটার ভিতরে ঢুকে পড়েছে। যে কোন সময় নদীর তীব্র স্্েরাতে সোজা প্রবাহিত হয়ে বিসৃত এলাকা বিলীন হবে।এর আগে ২০১৫ সালের এ সময় পদ্মার ব্যাপক ভাংগনে কুমারভোগের ডকইযার্ডে আকস্মিক ব্যাপক ভাংগন দেখা দিয়েছিল।
সংশিলষ্টদের সাথে আলাপকালে জানা যায়,পদ্মার প্রচন্ড ঘূর্ণিস্রােতের তান্ডবে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের মালামাল উঠা-নামার জন্য নির্মিত ৪টি জেটির মধ্যে ৩টি জেটি নদী গর্ভে ভেঙ্গে পড়ে। প্রবল ঘূর্ণিতে ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে মিক্সার প¬ান এলাকাটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। নদী প্রায় ৩০/৪০ মিটার ভিতরে ঢুকে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বি,আই,ডব্লিউটিসির জনৈক প্রকৌশলী বলেন,সর্বনাশা পদ্মার চরিত্র ভিন্ন প্রকৃতির। নদীর স্রােত বাধা পেলে পার্শ্ববর্তী এলাকায় তীব্র ভাংগন দেখা দেয়।বিচিত্র পরিত্রের পদ্মা নদীর পাড় নীচ থেকে তলদেশের মাটি মূহুর্তেও মধ্যে ৫০ মিটার পর্যন্ত সরে যায় এবং ধসে পড়ে। ফেরী ঘাট এলাকা থেকে প্রায় ১৫ শত মিটার দূরে নদীর মাঝে নির্মিত বিদ্যুতের প্রায় ১৬টি পিলার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে,এতে স্্েরাত বাধা পেয়ে ভিতরে ঢুকার সম্ভাবনা রয়েছে।গত বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান এবং বিআইডব্লিউটিসির প্রধান প্রকৌশলী ভাংগন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।