করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আটকে পড়া প্রবাসীদের দুশ্চিন্তা কেটে গেছে। লায়ন জুমান চৌধুরীর ফ্রি পরামর্শে স্বস্থি ফিরে এসেছে শতাধিক প্রবাসীর মনে। ঈদ-উল-আযহার পরের দি রোববার সরাইল উপজেলার মলাইশ গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে বসেছিল এ পরামর্শ সভা। পূর্ব ঘোষণা থাকায় অত্যন্ত পরিপাটি অবস্থায় ছিল পরামর্শ সভার স্থল। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ভোর থেকেই ছিল সাজানো গোছানো। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বসানো হয়েছিল টেবিল চেয়ার। স্যানিটাইজার, গ্লাবস্, বিশুদ্ধ পানি কোনটিরই কমতি ছিল না। শুধু দেওড়া মলাইশ গ্রামের নয়। শাহবাজপুর, সরাইল সদর, নাসিরনগর, চান্দুরা, মাধবপুর, আশুগঞ্জ, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কসবা ও আখাউড়া সহ দেশের অনেক জায়গার প্রবাসীরা সঠিক সময়ে জড়ো হয়েছিলেন সভাস্থলে। আটকে পড়া প্রবাসীদের ভিসা ও টিকেটে সমস্যা। কারো ছুটির সময় সীমা শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। সেই সাথে রিটার্ন টিকেটের মেয়াদও শেষ। অনেকের পাসপোর্টে সমস্যা। সকাল ৯টা থেকে শুরূ হয় পরামর্শ প্রদান। পর্যায়ক্রমে একজন করে গ্রহন করেন পরামর্শ। মনযোগ সহকারে সমস্যা শুনে সাবলীল ভাষায় সমাধানের পথ বলে দেন জুমান চৌধুরী। বিকাল ৪ টা পর্যন্ত শতাধিক প্রবাসী গ্রহন করেন পরামর্শ। পরামর্শ পাওয়ার পর তাদের চোখে মুখে ফুটে ওঠে স্বস্থির হাঁসি। তারা বলেন, ভেবেছিলাম করোনার কারণে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। পত্রিকাও পড়তে পারি না। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তাই হতাশায় হাবুডুবু খাচ্ছিলাম। জানতে পারলাম ২/১ টি দেশ ছাড়া অধিকাংশ দেশের সিদ্ধান্ত আসছে। বাকি গুলো ও আসবে। এখন নিজেদেরকে অনেকটা চাপমুক্ত মনে হচ্ছে। সভায় দীর্ঘ সময় উপস্থিত ছিলেন-শাহজাদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকন, শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজিব আহমেদ রাজ্জি ও সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান। পরামর্শ সভার আয়োজক ও ব্যবস্থাপক ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস্ অব বাংলাদেশ (আটাব) এর ভাইস চেয়ারম্যান, এভিয়েশন ক্লাব অব বাংলাদেশ লিমিটেড-এর সভাপতি ও এলহাম ট্রাভেল কর্পোরেশনের সত্বাধিকারী লায়ন জুমান চৌধুরী।