নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা ০৮ নং ওয়ার্ড মুসল্লি বাড়ী সংলগ্ন ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন ফারুকীর বাসায় পরিবারের সদস্যদেরকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে অচেতন করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন ফারুকী বসুরহাট বাজারের মুকবুল আহমদ চৌধুরী মার্কেটে আজিজিয়া ক্লথ ষ্টোর এর মালিক। সংবাদ পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বিষ মিশ্রিত খাবার খেয়ে অসুস্থ্যরা হলেন, ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন ফারুকী (৪৮), মা মেহেরুন নেছা (৭০), মেয়ে জয়নব উদ্দিন ছাদিহা (৮), ভাতিজা মোঃ খালেদ (১৬), রাহেনা আক্তার (৩০), আশ্ররাফুল আলম রাহাত (৮), সিদরাতুল মুনতাহা (৩), জাহেদুল ইসলাম রাকিন (১২) ও দোকান কর্মচারী আবদুল্লাহ আল মামুন (২০)। এদের মধ্যে জাহেদুল ইসলাম রাকিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। অপর ৮ জনকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর অবস্থার অবনতি ঘটলে শুক্রবার রাতেই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী রেজিয়া সুলতানা নাসরিন জানান, শুক্রবার রাতে বাসায় অনেক মেহমান ছিল। রাতে খাবার রান্নার পর জানালার পাশে রাখা হয়েছিল। ওই সময় জানালা খোলা ছিল। ধারনা করা হচ্ছে, খোলা জানালা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ডাকাতদল রান্না করা তরকারীতে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে দিয়েছে। ওই তরকারী ও খাবার আমি ছাড়া সকলে খায়। খাবার শেষে সকলে ঢুলু-ঢুলু অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর গভীর রাতে গ্রিলের এসএস পাইপ কেটে মুখোশপরা ডাকাতদল ভেতরে প্রবেশ করে।
এ সময় ডাকাতদল ঘরের অন্যান্যরা অচেতন থাকলেও আমাকে সচেতন দেখে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার রুমে জিম্মি করে রাখে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল আলমিরা ভেঙ্গে সব রুমে সব জিনিসপত্র ভেঙ্গে তছনছ করে ১০ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৮-১০টি মোবাইল সেট, নগদ ১০-১৫ হাজার টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদল চলে যাওয়ার পর আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে অচেতনদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে নিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) ফজলুল কাদের জানান, এটি ডাকাতির ঘটনা নয়। নিছক একটি চুরির ঘটনা। তবে সকলকে অচেতন করে চোরই এ লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে।