শোক বিহ্বল বন্ধুরা অকালে নিহত কসবার আকছিনা গ্রামের মহিউদ্দিন মোহন (৩০) এর বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য একটি অগভীর নলকূপ স্থাপন করে দিলেন। মোহনের বিধবা স্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন কিছু অর্থ। তার দুই পুত্র সন্তানের হাতে লেখাপড়ার দায়িত্বও নেবেন বন্ধুরা।
গত শুক্রবার ৭ আগস্ট বিকেলে অগ্রভাগীয় সাহিত্য সংগঠনের সদস্য নওগাঁ কোর্টে কর্মরত নিহত মহিউদ্দিন মোহনের জন্য স্মরণ সভার আয়োজন করেছিলেন অগ্রভাগীয় সাহিত্য সংগঠন। সংগঠনের সভাপতি আশফাতুল ইসলাম ভুইয়া এলমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষক কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো.সোলেমান খান। মহিউদ্দিনের বাড়ির আঙ্গিনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিউদ্দিনের বাবা পরিবহন মালিক সমিতির নেতা সামছুল আলম, কসবা সরকারী বালক উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, কসবা পৌর উচ্চবিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক বিল্লাল হোসেন। স্মরন সভায় মহিউদ্দিনের স্মৃতিচারণ করে অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন; সংগঠনের সাধারন সম্পাদক সজিব রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদুল আলম সোহাগ, আসিফ রেজা শুভ, মমিনুল হক সোহাগ, রাশিয়া ছাত্রলীগের সাধারন তুহিন ভূইয়া, ইব্রাহীম মিয়া ও হেলাল আবদুল হামিদ।
পরে অগ্রভাগীয় সাহিত্য সংগঠনের বন্ধুরা মহিউদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। উল্লেখ্য মহিউদ্দিন নওগাঁ কোর্টে কর্মরত অবস্থায় করোনা সন্দেহে প্রথমে শ্বশুরবাড়ী কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদে যায়। সেখানে একদিন থাকার পর কানাকানি ও হানাহানির ভয়ে নিজ বাড়ী আকছিনায় চলে আসেন। বাড়ীতে আসার পর ১৮ জুন রাতে মৃত্যুবরণ করে মহিউদ্দিন। কিন্তু মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ আসে। সে দুই পুত্র সন্তানের জনক। স্মরণ সভায় সবাই বলেন; মহিউদ্দিন করোনা উপসর্গে মারা যাননি বরং করোনা আতংকেই মারা যায়। স্মরণ সভায় মহিউদ্দিনের জন্য সবাই কাঁদলেন।