যশোরের শিল্প ও বাণিজ্য শহর নওয়াপাড়া ভৈরব সেতুর তলদেশ থেকে মাটি খনন করায় হুমকির মুখে পড়েছে সেতুটি। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের একটি তদন্ত টিম খনন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। খননকৃত এলাকা ভরাটের আশ্বাস দিয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।
জানা গেছে, গত ১৫ দিন যাবত নওয়াপাড়া মশরহাটী গ্রামে ভৈরব সেতুর উত্তর-পূর্ব পাশের তিনটি পিলারের গোঁড়া থেকে পরশ আট-ময়দা কারখানার মালিক আনিসুর রহমান স্কেভেটর দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটছেন। ওই মাটি রেলওয়ের জমিতে ফেলে ভরাটও করছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে তদন্ত টিমের প্রধান অভয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেএম রফিকুল ইসলাম জানান, যশোর জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের ওপর তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে আমিসহ তদন্ত টিমের সদস্য বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজ, উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার ও অভয়নগর থানার এসআই গৌতম কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এ সময় ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত আনিসুর রহমানকে ঘটনাস্থলে তলব করা হয়। অভিযুক্ত আনিসুর রহমান তাঁর দোষ স্বীকার করে খননকৃত স্থান এক সপ্তাহের মধ্যে ভরাটের আশ্বাস দেন।
উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার বলেন, ভৈরব সেতুর নকঁশা অনুযায়ী সেতুর তলদেশের মাঝ থেকে দুই প্রান্তে ২৫ ফুট করে সরকারি জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু আনিসুর রহমান ওই সেতুর তিনটি পিলারের গোঁড়া থেকে মাটি কেটে নেওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে সেতুটি। সরেজমিনে তদন্ত করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষর নিকট পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, এক বছর পূর্বে প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে ভৈরব সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করে ম্যাক্স গ্রুপ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।