গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চলতি মৌসুমে সরকারীভাবে বোরো ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হতে পারে। খাদ্য বিভাগের দুইটি খাদ্য গুদামে ধান ও চাল সংগ্রহের হার যথাক্রমে ৩০.৫৮ শতাংশ ও ১৪.৩৩ শতাংশ হওয়ায় দেখা দিয়েছে এ আশঙ্কা।
খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২০ মে থেকে বোরো ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হয় এবং তা চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত চলবে। সুন্দরগঞ্জ খাদ্য গুদামের ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩৬৬২ মেঃটন ও ১৭১৪ মেঃটন ৩শ' কেজি। গতকাল রোববার পর্যন্ত সংগৃহীত ধান ও চালের পরিমাণ যথাক্রমে ১০৪৪ মেঃটন ও ২২৭ মেঃটন ৫শ' ২০ কেজি। এ খাদ্য গুদামে অর্জিত শতকরা হার হচ্ছে ধান ২৮.৫১ শতাংশ ও চাল ১৩.২৪ শতাংশ।
অপরদিকে, বামনডাঙ্গা খাদ্য গুদামের ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১৮৩৮ মেঃটন ও ১২৩৮ মেঃটন ৭শ' কেজি। রোববার পর্যন্ত সংগৃহীত ধান ও চালের পরিমাণ যথাক্রমে ৬৩৮ মেঃটন ও ১৯৫ মেঃটন ৭শ' ৮০ কেজি। এ খাদ্য গুদামটিতে সংগৃহীত ধান ও চালের অর্জিত শতকরা হার যথাক্রমে ২৮.৫১ শতাংশ ও ১৩.২৪ শতাংশ, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক কম। আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জনের মধ্য যে বিশাল ব্যবধানের সৃষ্টি হয়েছে তা পুরণ করতে খাদ্য বিভাগ পারবে কি না, এ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
চলতি মৌসুমে ধান ক্রয়ের জন্য ৪ হাজার ২'শ জন কৃষককে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। খাদ্য গুদামে ধান দিতে গেলে কৃষকদেরকে ব্যাংক হিসাব খোলা, পরিবহন ব্যয়, আদ্রতা যাচাইসহ নানা সমস্যার কারণে তারা তেমনটা উৎসাহিত নন। আর এবারে বাজারে ধান-চালের দাম বেশী হওয়ায় কৃষক ও মিলাররা ধান-চাল সরবরাহ করতে অনেকটাই অনুৎসাহিত বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আলাউদ্দিন বসুনিয়া বলেন,'বর্তমানে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা ধান দিতে তেমনটা আগ্রহী নন। আর মিলারদের সাথে মিটিংও করেছি। তারা আমাদেরকে চাল দেয়ার বিষয়ে আশ্বস্থ করেছেন। টার্গেট পুরণের জন্য খাদ্য গুদামের দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আমি মিলারদের চাল কলে সরাসরি যাচ্ছি। আশা করি টার্গেট পুরণ করতে পারবো।