নীলফামারীর ডিমলায় সমবায় সমিতির অফিস ভাংচুড় ও লুটপাটের ঘটনার মামলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি কারাগারে।
ঘটনার বিবরনে জানাযায়, গত(১৪মার্চ) উপজেলা সদরের দক্ষিন তিতপাড়া (মেডিকেল মোড়) এলাকায় জেলা সমবায় নীলফামারী কতৃক অনুমোদিত ”স্বপ্ন সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন” সমবায় সমিতি লিঃ, যাহার রেজিঃ নং-২৯/১৯। সমিতিটি দক্ষিন তিতপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম কাল্টুর ছেলে মাহামুদুল হাসান মামুন পরিচালনা করে আসছিলেন। উক্ত সমিতির সহ-সভাপতি ও প্রকল্প পরিচালক হিসেবে একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ও উপজেলার গাছবাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মহব্বত হোসেন মোঃ বারী(৪০) সমিতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। পরবর্তিতে সমিতি পরিচালনা করা কালীন সময় সমিতির সভাপতি মাহামুদুল হাসান মামুনের সাথে প্রকল্প পরিচালক মহব্বত হোসেন মোঃ বারীর বিবাদ সৃষ্টি হলে তার দেয়া অংশিদারিত্বের টাকা ফেরৎ নিলেও গত(৮ফেব্রুয়ারী) উক্ত প্রকল্প পরিচালক মহব্বত হোসেনসহ তার লোকজন সমিতির কার্যালয়ে এসে হুমকি দিয়ে সমিতির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ সময় মাহামুদুল হাসান মামুন বাধা দিলে মহব্বত হোসেনসহ তার লোকজন সমিতির অফিসহ অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুড় করে। এবং সমিতির সভাপতিসহ তার মাতা মায়া আক্তারের উপড় হামলা চালিয়ে আহত করে। এ বিষয়ে মায়া আক্তার বাদী হয়ে গত(১৮ মার্চ) নীলফামারী আমলী আদালতে মহব্বত হোসেনসহ ৬ জনকে আসামী করে মামলা দাযের করেন। গত (৯ আগষ্ট) মহব্বত হোসেন মোঃ বারীসহ সকল আসামী আদালতে আতœসর্ম্পন করলে আদালত মহব্বত হোসেন মোঃ বারীকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। উল্লেখ্য যে, মহব্বত হোসেন মোঃ বারী ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের অধীনে গাছবাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি পদে চাকুরী করেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ সারোয়ার আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সিএইচসিপি মহব্বত হোসেন মোঃ বারী গত((৯ আগষ্ট) একদিনের ছুটি নিয়েছেন। জেল হাজতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিএইচসিপি মহব্বত হোসেন মোঃ বারীর জেল হাজতে থাকার বিষয়টি আমার জানানেই। তবে আদালতের কাগজপত্র পেলে তার বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।