নীলফামারীর ডিমলায় থানা পুলিশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৬ মাসের শিশু ফিরে পেল তার মায়ের কোল।
গত দুই বছর আগে উপজেলা সদরের উত্তর তিতপাড়া গ্রামের আক্তার আলীর মেয়ে আইরিন আক্তার(২০) এর সাথে উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের আটঘরিপাড়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে ময়নুল ইসলামের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সাংসারিক বিষয় নিয়ে ময়নুল আইরিনকে শারিরিক নির্যাতন করে আসছিলো।
গত(৯আগষ্ট) রবিবার রাতে ময়নুল আইরিনকে আবারো শারিরিক নির্যাতন করে তার ছয় মাসের অবুঝ ছেলে সন্তান আলিফ ইসলাম লামকে কেড়ে নিয়ে আইরিনরকে বাড়ী থেকে বেড় করে দেয়। এবং শিশু সন্তানটিকে অন্য বাড়ীতে লুকিয়ে রাখে। আইরিন বাবার বাড়ীতে এসে তাকে শারিরিক নির্যাতনের বিষয় জানালে বাবার বাড়ীর লোকজন অসুস্থ্য আইরনকে ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এবং শারিরিক নির্যাতন করে ছয় মাসের কোলের শিশুকে কেড়ে নেয়ার বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে আইরিনের বাবা ডিমলা থানায় ময়নুলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করলে।
অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ডোমার সার্কেল জয়ব্রত পাল এর নির্দেশে ও ডিমলা থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানাসহ পুলিশের একটি দলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় লুকিয়ে রাখা আইরিনের ছয় মাসের ছেলে সন্তান আলিফ ইসলাম লামকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় ডিমলা থানা পুলিশ। ডিমলা থানার (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।