নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় পুকুর হতে পৃথক ঘটনায় চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার চিলাহাটির প্রগতি পড়া এলাকায় একটি পুকুর হতে সাত মাস বয়সের শিশু ইসরাত জাহান ও তার মানষিক ভারসাম্যহীন মা আলেফ নুরার (৩২) লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দুপুরে নানা বাড়ির পাশ্বে পুকুর হতে সাইমা ইসলাম (৫) ও সুমান আক্তার (৬) নামের দুই খালাতো বোনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ঘোনপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাত টার দিকে ডোমার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান ঘটনা দু’টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, সকালে শিশু ইসরাত জাহান পায়খানা করলে, মা আলেফ নুরা পরিস্কার করার জন্য ঘর হতে বের হয়। বেশ কিছু সময় আলেফ নুরা ফিরে না আসায়, তাকে বাড়ির লোকজন খুঁজতে থাকে। সকাল নয় টার দিকে এক নারী পুকুড়ে এক নারী ও এক শিশুর ভাসমান দেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। এতে এলাকার লোকজন ছুটে এসে পুকুড় হতে তাদের উপড়ে তুলে দেখে দুই জনেরই মৃত্যু হয়েছে। আলেফ নুরার স্বামী তাদের পরিচয় সনাক্ত করে। সকাল ১১ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠিয়েছে।
আলেফ নুরার স্বামী ঈসমাইল হোসেন জানান, গত তিন মাস হতে আলেফ নুরা মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে রয়েছে। রংপুর পপুলার মেডিকেলে তার চিকিৎসা করানো হচ্ছে।
অপরদিকে, সোনারায় ইউনিয়নের হরিহরা ঘোনপাড়া গ্রামের নানা আবদুর রহিমের বাড়ীতে মায়ের সাথে বেড়াতে আসে সাইমা ও সুমনা। বুধবার দুপুরে নানা বাড়ীর পাশে পুকুরের ধারে খেলা করছিলো তারা। সকলের অগোচরে দুইজনেই পুকুরে পড়ে পানিতে তাদের মৃতদেহ ভেসে উঠে। নানা বাড়ির লোকজন তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে আসে।
ডোমার থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান চার জনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ না থাকায় দুই খালাতো বোনের লাশ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আর ময়না তদন্তের জন্য মা ও শিশুটির লাশ জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।