স্ত্রী ও সন্তানদের সুখের কথা চিন্তা করে ১২ বছর মালয়েশিয়া থেকেও এখন পথে পথে ঘুরছে ইব্রাহিম হাওলাদার। প্রবাস জীবনে তার উপার্জিত সকল অর্থ স্ত্রীর নামে প্রেরণ করলেও নিজ মেয়ে জামাইয়ের সাথে স্ত্রী হাওয়া বেগম পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ায় এখন সবকিছু থেকে বঞ্চিত সে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইব্রাহিম হাওলাদার।
লিখিত বক্তব্যে তিঁনি বলেন, ২০০২ সালে পারিবারিক সিদ্ধান্তে কলাপাড়ার ধূলাসার ইউনিয়নের বেতকাটা গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলাম নেগাবান এর মেয়ে মোসাঃ হাওয়া বেগম এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। দাম্পত্য জীবনে তিন কন্যা ইয়াসমিন (১৭), ইমা (১২) ও আশা (৬) এবং এক ছেলে মোঃ তালহা (৪) জন্মগ্রহণ করে। পারিবারিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ২০০৮ সালে শ্রমিক হিসেবে মালয়েশিয়া যায় ইব্রাহিম।
ইব্রাহিম জানায়, বিদেশে থাকার সুযোগে তার মতামত ছাড়াই স্ত্রী হাওয়া কিশোরী মেয়ে ইয়াসমিনকে লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের রবিউলের সাথে রেজিষ্ট্রি কাবিন ছাড়াই বিয়ে দেয়। এ রবিউলের সাথে স্ত্রী হাওয়ার আগেই সখ্যতা থাকায় সে পরিবারের কারো আপত্তি শোনেনি বলে জানান।
লিখিত বক্তব্যে সে জানায়, এরপরই মেয়ে জামাইয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শ্বাশুড়ী হাওয়া। বিদেশে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি টাকা স্ত্রী হাওয়া ও তার শ্বশুড়-জামাতার কাছে প্রেরণ করেন। কিন্তু এ পুরো টাকাই তারা উত্তোলন করে নেয়।
সে জানায়, বিদেশে থাকা অবস্থায়ই সে জামাই-শ্বাশুড়ীর অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় তার বৃদ্ধ বাবা ও সন্তানদের শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে হাওয়া বেগম। এ খবর পেয়ে এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন। খবর পেয়ে মেয়ে ও জামাই তাদের বাড়িতে আসে। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে আপত্তিকর অবস্থায় স্ত্রী হাওয়াকে জামাতা রবিউলের সাথে একটি খালি কক্ষে দেখতে পান। পরবর্তীতে সে আর ভুল করবে বলে ক্ষমা চাওয়ায় সন্তানদের সুখের কথা চিন্তা করে তাকে ক্ষমা করে দেন। গত ১৪ মার্চ আবার সে মালয়েশিয়া যাওয়ার পর আবার শুরু হয় জামাতা-শ্বাশুড়ীর অনৈতিক কর্মকান্ড। এমনকি তার মেয়ের গর্ভের সন্তানও নষ্ট করে দেয় জামাই ও শাশুড়ী।
এ খবর জানতে পেরে গত ৪ আগস্ট দেশে ফিরে আসে ইবওাহিম হাওলাদার। দেশে এসে এ তার প্রেরিত টাকা ফেরত চাইলে দিতে অস্বীকার করে স্ত্রী হাওয়া। বাধ্য হয়ে গত ৮ আগস্ট মহিপুর থানায় একটি জিডি করেন। কিন্তু জিডিতে তার পুরো কথা লেখা হয়নি বলে সে জানান। এ জিডি করায় ক্ষিপ্তÍ হয়ে গত ১১ আগস্ট নিজ বাড়িতে প্রবেশ করলে স্ত্রী হাওয়া বেগম অজ্ঞাত ৫/৭ জনকে নিয়ে তাকে ধাওয়া করে। বাধ্য হয়ে জীবন রক্ষা ও বিদেশ থাকাকালীন তার প্রেরিত সকল অর্থ ফেরত পেতে ১২ আগস্ট কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি আর ৩৮৮/২০২০। তার আর্তি সে তার সকল অর্থ ফেরত চায় এবং তার সাথে যারা প্রতারণা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।