মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় পাঁচবিবি থানায় মামলা হলেও পুলিশ কোন আসামীকে আটক না করায় আসামিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকী দিচ্ছে আসামীরা। শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে অবিলম্বে আসামীদের আটকের দাবী জানিয়েছেন মৃত সুমাইয়ার পরিবার।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি শহরের বালিঘাটা বাজারের স্বাধীন বাংলার তৎকালীন সংসদ সদস্য (জয়পুরহাট-পাঁচবিবি) মরহুম ডাঃ সাইদুর রহমানের কনিষ্ঠ ছেলে রবিউল ইসলাম লিটন ২০১৩সালে তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে (২২) বিয়ে দেন উপজেলার রামনগর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে মোঃ জনির (৩২) সাথে। বিয়ের পর থেকে জামাই জনি যৌতুকের জন্য স্ত্রী সুমাইয়াকে নির্যাতন করতো। পরবর্তীতে জনি আরো ৫লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। ৬আগষ্ট রাতে টাকা না দেয়ায় জনি তার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্যাতন চালিয়ে ঘরের ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখে। মৃত ভেবে জনি তার স্ত্রীকে মেঝেতে ফেলে রাখে। পরে সুমাইয়াকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮আগষ্ট রাতে মারা যায় সুমাইয়া। এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে পাঁচবিবি থানায় সুমাইয়ার পিতা লিটন হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নিবেনা বলে জানালে তিনি জেলা পুলিশ সুপারের স্বরণাপন্ন হন। পরবর্তীতে পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয়। এত দিনেও পুলিশ আসামীদের আটক না করায় আসামিরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য মৃত সুমাইয়ার পিতা-মাতাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিচ্ছে। অবিলম্বে আসামীদের আটক করে তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে শুক্রবার দুপুরের পাঁচবিবি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মৃত সুমাইয়ার পিতা রবিউল আলম লিটন। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন আসামীগণ ও তাদের নিয়োগকৃত একটি পক্ষ হত্যার ঘটনাটি অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে পাঁচবিবি থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ওসি মোঃ মনসুর রহমানের বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের জোড় তৎপরতা চলছে।