সারা জীবন শোষিত মানুষের পক্ষে থেকে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। গণতন্ত্র রক্ষা ও স্বাধীনতার জন্য অত্যাচার নির্যাতন কারাবরণ সহ্য করেছেন। জীবনের বেশীরভাগ সময়ই কাটিয়েছেন জেলে। রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধু ছিলেন দূরদর্শী নেতা। ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর নেতৃত্বেই আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকাটি। ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীনতার যে সূর্যটি অস্তমিত হয়েছিল শুধু মীরজাফরের কারণে। বিলীণ হওয়া সেই সূর্যটি ৭১ সালে ফিরিয়ে এনেছিলেন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু জাতী হিসেবে আমরা কত নীচ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুকে গুটি কয়েক কুলাঙ্গার ও বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য ৭৫ এর ১৫ আগস্ট রাতে নির্মমভাবে স্বপরিপারে হত্যা করে। সমগ্র বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে কলংকিত করে। ৭১’র পর ৭৫’এর নব্য মীরজাফর হচ্ছে খন্দকার মোস্তাক। ক্ষমতার লোভে মোস্তাক ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার অন্যতম নায়ক। মূলত: মীরজাফরী-ই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল কারণ। বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত বড় মাপের নেতা। আমরা এখনো এমন জাতীয় নেতা সম্পর্কে কিছুই জানি না। তিনি আজীবন যুদ্ধ করেছেন মেহনতি মানুষের জন্য। সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। রেডিওতে ঘোষণা দিলাম আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেল। বিষয়টি কি এতই সহজ? মীরজাফর ও রাজাকারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দিয়েছিলেন কারা এটা এ দেশের মানুষ জানেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতার অংশীদার করে কলংকের জন্ম দিয়েছিলেন। ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার হীন ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। আজ আমরা বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে গতকাল শোক সভায় উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন বক্তারা। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল সকাল ১০টায় জাতীর জনকের প্রতিকৃতিতে পুস্ফস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন। পরে পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুস্ফস্তবক অর্পণ করেছেন। সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাহী কমকর্তা এ এস এম মোসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খানের সঞ্চালনায় ওই সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, আ.লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল হোসেন, সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল-সার্কেল) মো. আনিছুর রহমান, আ.লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী ও অ্যাডভোকেট মো. জয়নাল উদ্দিন। পরে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। সবশেষে ত্রিতাল সঙ্গীত নিকেতনের শিল্পীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এ ছাড়াও উপজেলা সদরের সরাইল সরকারি কলেজ ও সরাইল মহিলা কলেজ দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।