স্বল্প পরিসরে যথাযথ ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশ ছিল সরকারের। কিন্ত সরাইলে ভেস্তে গেছে সরকারের সেই নির্দেশ। নির্বাহী কর্মকর্তা বারবার মাইকে ঘোষণা দিয়েও নির্দেশ পালন করাতে পারেননি। রাজনৈতিক নেতাদের কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিতে কর্মসূচি স্থলে সরিষা ছাড়ার জায়গা ছিল না। অধিকাংশ মানুষ জনের পড়নে ছিল না মাস্ক। মানুষের শরীরের ধাক্কায় অনেকে হয়ে পড়েছিলেন পেরেশান। অনেকের গায়ের ঘামে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পুষ্ফস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ সহ সর্বত্রই বিরাজ করেছে একই অবস্থা। করোনা ভীতি আছে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন। এমন কথার উত্তরে কর্মসূচিতে অংশ গ্রহনকারী অধিকাংশ ব্যক্তি বলেন, কিছুই তো করার নেই। একজনের সাথে ৩০-৪০ জন করে কর্মী সমর্থক এসেছেন। সবাই চাচ্ছেন ফুল দিতে। আবার যে করেই হউক ছবিতেও থাকতে হবে। প্রশাসন যেখানে পারছেন না। এমন গিজাগিজিতে করোনা কি করবে। আমাদের মনে হচ্ছে এই মূহুর্তে সরাইলের মানুষের মন থেকে হারিয়ে গেছে করোনা ভীতি। অথচ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ প্রশাসনের বড় কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা। কিছু লোক দু:খ করে বলেন, সড়কে মাস্ক ছাড়া বের হলে ২শত টাকা জরিমানা দিতে হয়। এখন শত লোক মাস্ক পড়ে আসেনি তাদের কোন জরিমানা হচ্ছে না। আসলে যত আইন গরীবের জন্য।