রাজশাহীর বাগমারায় ঝিকরা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফজাল হোসেনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে এলাকার চিহ্নিত দুস্কৃতকারীরা। ওই ঘটনায় বীরমুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন বাদী হয়ে একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), আবদুস সাত্তার (৫২), লোকমান আলী (৪০), শরিফুল ইসলাম (৪০), শাহাদুল ইসলাম (৩৭), খলিলুর রহমান (৫৫), মকলেছুর রহমানসহ (৩৬) ৭ জনের নাম উল্লেখ করে বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অগ্নিকাণ্ডে আফজাল হোসেনের বাড়ির ৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে অভিযোগে ্উল্লেখ করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের রাজরামপুরপাড়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফজাল হোসেন প্রতি দিনের ন্যায় গত শনিবার (১৫ আগষ্ঠ) রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত দেড়টার দিকে তিনি ঘুমের ঘরে শব্দ শুনতে পান বাড়ির বাহিরে মানুষ ঘোরাফিরা করছে। এমন শব্দ শুনে তিনি ঘরের দরজা খুলে বাড়ির বাহিরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে ঘরের দরজা বাহিরে থেকে বন্ধ দেখতে পান। বাড়ির আশপাশে কোন বাড়িঘর না থাকায় তিনি তার বড় স্ত্রীর সন্তানদের মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে তার ছেলেরা দ্রুত ওই বাড়ি থেকে তার বাবার বাড়িতে চলে আসে এবং আসামীদের দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখে। তার বাবার বাড়িতে আগুন দেখে তারা দুই ভাই চিৎকার করতে থাকে। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীসহ আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং ঘন্টা ব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। বীরমুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেনের অভিযোগ, অভিযুক্তরা আমার ্স্ত্রী ও সন্তানসহ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তার ৫ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে তিনি দাবী করেছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত করে জীড়তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।