ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের কৃতী সন্তান হাফেজ আরাফাত উল্লাহ (১৫) ৫ দিন পূর্বে সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্নক আহত হয়ে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।হাফেজ আরাফাত জানায় ঘটনার দিন ও সময়ে তিনি ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসার পথে সন্ধ্যা অনুমান ৭ ঘটিকার সময় ভলাকুট-কান্দি গ্রামের মাঝামাঝি ব্রীজের নিকট আসা মাত্র ৫/৭ জন ডাকাত প্রকৃতির সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে।সন্ত্রাসীরা তার কাছে থাকা নগদ টাকা পয়সা লুট করা সহ মৃত্যুর উদ্দ্যেশে দা /কিরিচ দিয়ে এলোপাতারী কুপাতে থাকে।সন্ত্রাসীদের এলোপাতারী ধারালো অস্ত্রের কুপের আঘাতে মারাত্বক আহত আরাফাতের শোর চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তার মৃত্যু নিশ্চত ভেবে দৌড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় আশপাশের লোকজনের সহায়তা আরাফাত উল্লাহকে উদ্ধার করে নাসিরনগর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।জানা যায়,সন্ত্রাসীরা ভলাকুট কান্দি গ্রামের পাঠান খাঁর বাড়ির লোকজন। তবে কি কারণে এ ঘটনা ঘটিযেছে তা এখনো জানা যায়নি।ভলাকুট উত্তর পাড়ার মোঃ মুজিবুর রহমানের হাফেজ ৫ সন্তানের মধ্যে ৪র্থ সন্তান হাফেজ আরাফাত উল্লাহ।
এ ঘটনার পরদিন হাফেজ আরাফাত উল্লাহর জেষ্ঠ্য ভ্রাতা হাফেজ বেলায়েত উল্লাহ বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় মামলা দায়ের করে।ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। এ ঘটনার এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় বাদী এবং এলাকাবাসী চরম হতাশা রয়েছেন বলে জানান বাদী ও তার পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার পুর্বক দৃষ্টান্ত মুলক সর্বোচ্চ শাস্তির নিমিত্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রুবেল মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানায়, মামলার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছিল।এ বিষয়ে দুই গ্রামের লোক মিলে শালীশের সিদ্বান্ত নেয়া হয়েছে।বর্তমানে হাফেজ আরাফাত উল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।