বেরিবাঁধ না থাকায় ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লগড়া ইউনিয়নের বড়ইকান্দি, ভূলিপাড়া, কামারখালী,রানীখ, বিজয়পুর সহ প্রায় ৮ গ্রামের মানুষ। ইতোমধ্যে নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হতে চলেছে এই এলাকার নানা স্থাপনা। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ঐ এলাকায় স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নদীভাঙ্গন নিয়ে ১৭ আগস্ট সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পাহাড়ী নদী সোমেশ্বরীতে শুকনো মৌসুমে পানি না থাকলেও বর্ষায় এ নদী ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। প্রতি বছরই পাহাড়ী ঢলে নিম্ন এলাকা গুলো ব্যপক প্লাবিত হয়। ১৯৯১ সাল থেকে এ অঞ্চলে শুরু হয় নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা।
স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক,শাহানুর,কাদির,মনিন্দ্র জানান, নদীর দুই পাড়ে স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মানের দাবীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় আমরা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়েছি। এই সারা বছর শান্ত থাকলেও বর্ষায় সোমেশ্বরী নদীর পাহাড়ী ঢল পদ্মা-মেঘনার মত ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। নদীর ভাঙ্গনে কামারখালী বাজার এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষের বাড়ীঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বেধিবাঁধের ব্যবস্থা করা না গেলে সবকিছুই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি সদস্য মানু মজুমদার এ প্রতিনিধি কে বলেন, ঐ এলাকার নদী ভাঙ্গন সত্যি দুঃখ জনক। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মানের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আমার জানামতে করোনার জন্য ফাইল আটকে রয়েছে। অতি শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হতে পারে।