কোম্পানীগঞ্জে দক্ষিণাঞ্চলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান বাদল সহ একাধিক গ্রুপে হাজার হাজার একর সরকারী খাস জমি জবর দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী ও একাধিক সূত্রে জানা যায়, শত শত একর খাস জমি গুলো সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ এ সকল ভূমি জবর দখলকারীরা ভূমিহীনদেরকে উচ্ছেদ করে এবং নথিপ্রাপ্ত ভূমিহীনদেরকে ও বঞ্চিত করে ভয় দিয়ে তাদের জমিও জবর দখল করে নিয়েছে এই ভূমিদস্যুরা।
সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ক্ষমতার অপব্যবহার করে চর বড়ধলি ১৫ একর, চরপল্লবি-৪২, চরউমেদ, চর রমজান ৪৫ একর, চর কচ্ছফিয়া -২২ একর, আশ্রাফ হোসেন রভেন্স ৯০ একর, হানিফ পাটোয়ারী ১৫০ একর, আবদুল খালেক ৪০ একর, বেলাল হোসেন চর রমজানে ৪০ একর, সবুজ মিয়া চলবায়ুয়াতে ৫০ একর, হাসেম মেম্বর চলবায়ুতে ৪০ একর, নুর নবী চর উমেদে ৫৫ একর, আমির হোসেন ব্যাপারী চর বালায়, চর উমেদ, চর আমজাদসহ ১৩০ একর, আনোয়ার হোসে শামীম, সেলিল বাতানী, আলা উদ্দিন মিকার, আবদুল্লাহ, মানিক ব্যাপারী, আবদুল ওয়াদুদ হাফেজ, শেখ আবদুল্লাহ, সিরাজ মিয়া, ছিদ্দিক উল্যাহ, মানিক চাত্তার, নুর নবী, মজিবুল হক মেম্বার, সাকুরা মেম্বার- ৬০ একর, স্বপন চর লেংটা, চর রমজানে ৪৫ একর, রুহুল আমিন ৫০ একর, জয়নাল হাজারী চরবালুয়াতে ২৭০ একর, আশ্রাফ হোসেন রভেন্স চর উমেদ, চর রমজানে - ৮০ একর, নাজিম ফকির ২০০ একর, আবদুল খালেক-৪০ একর, আনিছ কোম্পানি ২০ একর, ফয়েজ উল্যাহ ওসি-৩০ একর, বাহার চাপরাশি বাড়ি গাংছিলে ৬০ একর। উপর্যুক্ত ব্যক্তিবর্গ প্রকৃত নথিপ্রাপ্ত ভূমিহীনদেরকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভূমি থেকে বঞ্চিত করে। চরগুলো হলো- দক্ষিণ চর, চরএলাহী, উড়িরচর, চর বালুয়া, চর উমেদ, চর রমজান, চর গাজী মিজান, চর গাংচিল, চর মওদুদ, চর দক্ষিণ এলাহী, চর কচ্ছপিয়া, চর কলমি, চর লেংটা, গুচ্ছগ্রাম।
এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল জানান, আমার কাছে জবর দখলকৃত কোন সরকারী খাস জমি নেই। যদি উপযুক্ত প্রমাণ দেখাইতে পারেন, তাহলে আমি যেকোন শাস্তি মেনে নিব।
জবর দখলকারী আশ্রাফ হোসেন রভেন্স জানান, আমরা বয়াসূত্রে আমরা ৯০একর ভূমি দখলে আছি।
হানিফ পাটোয়ারী জানান, যদিও খাস জমি বয়াসূত্রে আমি ১৫০ একর জমি দখলে আছি।
এ ব্যাপারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন চরে জবর দখলকারীর মূল হোতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে খাস জমিগুলো জবর দখল হয়ে যাচ্ছে।
সদ্য যোগদানকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মির জানান, অচিরে আমরা তদন্ত করে উপযুক্ত নথিপত্র বাছাই করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিব।