অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: হুমায়ূন কবিরকে শিবপুর থেকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। অপর দিকে লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খানকে শিবপুরের ইউএনও হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো: সেলিম রেজা’র স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়।
মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান ৩১তম প্রশাসন ক্যাডারে ২০১৩ সালে বাগেরহাটে সহকারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। পরে ২০১৬ সালে নরসিংদীতে কর্মরত ছিলেন এবং ২০১৭ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বুধবার (১২ আগস্ট) নরসিংদী সার্কিট হাউজে দিন ব্যাপী তদন্ত করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের পরিচালক এম ইদ্রিস সিদ্দিকী (যুগ্ম-সচিব, স্থানীয় সরকার)। এ সময় শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হারুনুর রশীদ, ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ সরোয়ার ভূঞা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাপসী রাবেয়া, দুলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: মেরাজুল হক, সাধারচর ইউপি চেয়ারম্যান মো: মাছিহুল গণি স্বপন, মাছিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হারিস রিকাবদার, পুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার হাসান উল সানি এলিছ, চক্রধা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: বেনুজির আহমেদ, জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান মো: নাদিম সরকার, বাঘাব ইউপি চেয়ারম্যান মো: তরুন মৃধা, যোশর ইউপি চেয়ারম্যান মো: রাসেল আহমেদ, আইয়ূবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: মজিবুর রহমান সরকার, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য যথাক্রমে তাছলিমা খানম, বিলকিস রানী, আফিয়া বেগম, শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আরম রাখিল, ইউএনও অফিসের কর্মচারী জাকির হোসেন এবং ১৬ জন ঠিকাদারসহ মোট ৩২ জনের বক্তব্য শুনেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের আগেই তাকে শিবপুর থেকে বদলি করা হলো।