নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লগড়া ইউনিয়নের কামারখালী, রানীখং, বিজয়পুর এলাকার ৫৫বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী রানীখং উচ্চ বিদ্যালয়, কামারখালী বাজার, ১০৭ বছরের পুরনো রানীখং ধর্মপল্লী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার দাবীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের মানুষ এক মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ১৯৯১ সাল থেকে এ অঞ্চলে শুরু হয় নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা। আর তখন থেকেই নদী গর্ভে বিলীন হতে থাকে এই এলাকার বসতবাড়ি থেকে শুরু করে নানা স্থাপনা। ভাঙ্গন রোধে ২০১০ সালে ডাকুমারা এলাকার কিছু অংশে স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় ছিলো অনেক কম। এ বছর পর পর কয়েক বার পাহাড়ী বন্যা ও নদী থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দুই পাড়ে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়। নদীর ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে কামারখালী বাজার এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষের বাড়ীঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বেধিবাঁধের ব্যবস্থা করা না গেলে সবকিছুই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান।
জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, নদী ভাঙ্গন যে দিনে দিনে এতটা খারাপ অবস্থায় গিয়েছে সরেজমিনে না আসলে তা বুঝতে পারতাম না। দ্রুত সংস্কারের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন সেই সাথে বিজয়পুর থেকে ৭ কিলোমিটার বেরিবাঁধ নির্মানের জন্য ৭০০ কোটি টাকার এক প্রকল্প প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেওয়ান মো. তাজুল ইসলাম, ইউএনও ফারজানা খানম, প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।