শোকের মাস আগষ্ট। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সরাইলের দেওড়া মিতালীর কার্যালয়ের সামনে প্রবাসী আওয়ামী লীগ সমর্থকবৃন্দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে শোকসভা ও দোয়ার মাহফিল। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা সংসদ সদস্য (আসন-৩১২) উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ। শাহজাদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুল, উপজেলা আ.লীগের সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জয়নাল উদ্দিন জয়, আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ব্যবসায়ি ও সমাজসেবক মো. সেলিম খন্দাকার ও ছাত্রলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন ছানা উল্লাহ সেলু। বক্তারা বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিত মানুষের প্রাণের স্পন্দন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি নির্যাতিত নিপিড়িত বঞ্চিত মাসুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করে আসছিলেন। তাই জীবনের অধিকাংশ সময় তাকে কারাবরণ করতে হয়েছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁরই নেতৃত্বে ও দিক নির্দেশনায় বাঙ্গালি জাঁতি পেয়েছে লাল সবুজের একটি পতাকা। ১৭৫৭ সালে পলাশীর আ¤্র কাননে নবাব সিরাজদ্দৌলাকে হত্যা করে স্বাধীনতার যে সূর্যটিকে অস্তমিত করা হয়েছিল, ৭১ এ সেই সূর্যটিকে পূর্ণ উদ্ধার করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এমন একজন মহান নেতাকে স্বপরিবারে বিপথগামী কতিপয় সেনা সদস্য ও দেশীয় কিছু কুলাঙ্গার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ৭৫’র ১৫ আগস্ট রাতে নির্মম ভাবে হত্যা করে। বিশ্ববাসীর কাছে সমগ্র জাতিকে কলংকিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষার জন্য জিয়াউর রহমান ইনমেনিটি এক্ট নামক একটি কাল আইন করে হত্যার বিচরের পথ বন্ধ করে দেন। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ওই কালো আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের দ্বার উম্মোচন করেছেন। জাঁতি হয়েছে কলংকমুক্ত। এখনো যে সকল আসামি পালিয়ে আছে তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রƒত ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবী জানিয়েছেন বক্তারা। এ ছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলা চালিয়ে আরেকটি ১৫ আগস্ট রচনার প্রচেষ্টার প্রতি ঘৃণা জানিয়ে বক্তারা বলেন, সেইদিন বঙ্গুবন্ধু এভিনিউতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে আবারও অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা হয়েছিল। খোদা রক্ষা করেছেন। প্রবাসী আওয়ামী সমর্থকবৃন্দের পক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজক জামাল ও শাহিনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অতিথিরা। ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন আ.লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান।