জননেত্রী সৈনিকলীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি ও বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ সেলিম বলেছেন-অনুপ্রবেশকারীদের কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। দলের মধ্যে বসন্তের কোকিলের অভাব নেই। কিন্তু ত্যাগী নেতার যথেষ্ট অভাব আছে। এছাড়াও এক শ্রেণির হাইব্রীড নেতাদের কর্মকাণ্ডে দলের তৃণমুলের নেতাকর্মীদের কোনো মূল্যায়ন হচ্ছেনা। অথচ অতীতে মামলার-হামলার বেশিরভাগই শিকার হয়েছেন তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। এই করোনার সময়েও চট্টগ্রামে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহায় দরিদ্র মানুষদের পাশে দেখা যাচ্ছেনা। মানুষের কষ্ট চলছে সামাহীন। দলের প্রধান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার মন্ত্রী-এমপিদের এলাকায় জনগণের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে চট্টগ্রামের নেতারা জনগণের পাশে কয়জন আছেন? এমন পরিস্থিতিতে দলের অবস্থান মজবুত করতে হলে অবশ্যই তৃণমুলের নেতাদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের কাজ করতে হবে। তা না হলে দলের মধ্যে সুবিধাবাদী নেতারা এবং বিএনপি-জামায়াত জোট ফায়দা হাসিল করবে।
বিরোধী শক্তি সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের এক শ্রেণির নেতারা নিজেদের পকেটভারী করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এভাবে দলের অবস্থান মজবুত হবেনা। বরং বিতর্কিত হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় জনগণের জন্য কাজ করছেন। নিজের জীবনকে তুচ্ছ মনে করে মানুষের পাশে আছেন যে কোনো পরিস্থিতিতে। ২১আগষ্ট শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা প্রমান করে বিএনপি-জামায়াত এই দেশে শান্তি চায়না; তারা সন্ত্রাস চালিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। লোভ-লালসা তাঁকে কাছে টানতে পারেনি। তাই এই দেশের মানুষ আওয়ামীগকে ভালবাসার কারণে এই দলটি বার বার ক্ষমতায় আসে। জনগণের সকল চাওয়া পাওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশে শান্তি বজায় থাকার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্রান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ আমরাও নেত্রীর আদর্শকে লালন করলে সফলকামী হতে পারেবো। ২১আগষ্ট শুক্রবার রাতে জাতীয় শোক দিবস ও আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত এবং আহতদের উদ্দেশ্যে এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর হালিশহরের সবুজবাগে চট্টগ্রাম সিটি রিক্সা শ্রমিকলীগ (রেজি:২১০৩) ও জননেত্রী সৈনিকলীগের যৌথ আয়োজনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শহরের ৪১ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শ্রমিকলীগ নেতা মহিউদ্দিন গাফফার, প্রদীপ কোম্পানী, ইউছুপ কোম্পানী, আলাউদ্দিন কোম্পানী, মিন্টু কোম্পানী, ছালাউদ্দিন কোম্পানী, রফিক কোম্পানী, বাবলু কোম্পানী, মো. সবুজ, মো. হান্নান, দিদার কোম্পানী, ওয়াহাব কোম্পানী, মালেক কোম্পানী, নবী হোসেন কোম্পানী, মহিউদ্দিন কোম্পানী, আবদুর রহিম কোম্পানী, আলী আজগর, নুরুল আলম ও মো. কাদের মিয়া প্রমুখ।
এসময় মো. সেলিম তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নতুন সদস্য সংগ্রহ বহুদিন বন্ধ রয়েছে। এতে দলের মধ্যে নেতাকর্মীদের একটা দূরত্ব তৈরী হয়েছে। যারা দলের জন্য নিবেদিত তারা সদস্য হতে পারছেন না। যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন তাদের মধ্যে অনেকেই সদস্যপদ গ্রহণের জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সফল হচ্ছেন না। দলকে যারা ভালবাসেন তাদেরমধ্যে শতকরা ৮০ভাগ মানুষ দলের সদস্য নেই। কিছু পরিচিত ব্যক্তি ঘুরে ফিরে দলের বার বার দায়িত্ব পাচ্ছেন। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বাবা ব্যবসায়ীরাও কমিটিতে পদ পাচ্ছেন। আর যারা স্বচ্ছ রাজনীতি করেন এবং আওয়ামীগকে ভালবাসেন তারা দলে নির্বাসিত। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিনীত অনুরোধ জানাবো দ্রুত দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালু করা হোকে। দলকে শক্তিশালী করতে হলে অবশ্যই নতুন সদস্য নিতে হবে। সদস্য বৃদ্ধি পেলে দলের আয়ও বৃদ্ধি পাবে। ওদিকে বিএনপি জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হলে এক্ষুনি দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। চট্টগ্রামে দুর্নীতিবাজদের ছাড় নেই। আমি সারা জীবন সন্ত্রাস এবং দুর্নীতিকে ধিক্কার জানিয়েছি এখনো জানাই। দুর্নীতি করা আর ভিক্ষা করে খাওয়া একই কথা। দলকে চাঙ্গা করার জন্য আমি লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি। কি পেলাম ? তা কখনো চিন্তা করিনি। এই করোনার সময়েও আমি গরীব মানুষদের সাধ্যমত সহযোগিতা করছি। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা চট্টগ্রামে দলকে মজবুত করার জন্য আমার কোনো সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই করবো।