ডাকযোগে ভোটগ্রহণকে বাধাহীন করতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাসের পদক্ষেপকে ‘ভোট জালিয়াতির প্রচেষ্টা’ আখ্যা দিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সাফ জানিয়েছেন, বিলটিতে ভেটো দেবেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ডাকবিভাগের জন্য ২৫০০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিতে শনিবার (২২ আগস্ট) প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল পাস হয়। ডাকবিভাগের ব্যয়সংকোচন ও নিয়ম-নীতির যেসব পরিবর্তনের কারণে ডাকযোগে ভোটগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে, সেগুলো থামিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই বিলে। তবে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাস হলেও রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রণাধীন সিনেটে তা পাস হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এরইমধ্যে ট্রাম্প বিলটিতে ভেটো দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এক টুইটার পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘ডাকবিভাগের প্রতিনিধিরা তো বার বারই বলে আসছেন যে তাদের টাকার প্রয়োজন নেই। ডাকবিভাগের নিয়ম-নীতিতেও পরিবর্তন আনবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।’ট্রাম্প অভিযোগ করেন, জালিয়াতির স্বার্থে রাজনৈতিক কারণেই ডেমোক্র্যাটরা এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক কর্মদিবসে নির্বাচন হয় বলে অনেক মানুষ সশরীরে ভোট দিতে পারেন না। কাজের সূত্রে দূরে থাকার কারণেও কারও কারও ভোট দিতে সমস্যা হয়। এমন সব মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে সেদেশে ডাকযোগে ব্যালট পাঠানোর বিধান রয়েছে। এ বছর করোনা সংকটের কারণে অসংখ্য ভোটার সেই সুযোগ গ্রহণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে ডাকযোগে বা মেল ইন ভোটের দাবি জানানো হলেও ট্রাম্প শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করছেন। এমনকি ভোট-জালিয়াতি হতে পারে বলে ডেমোক্র্যাটদের দিকে আঙুলও তুলেছেন তিনি। ডাকবিভাগের বরাদ্দ কাটছাঁট করতেও দেখা গেছে তাকে। এমন অবস্থায় ডাকবিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করতে প্রস্তাবিত একটি বিল পাসে ভোটাভুটির আয়োজন করে প্রতিনিধি পরিষদ। যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক কর্মদিবসে নির্বাচন হয় বলে অনেক মানুষ সশরীরে ভোট দিতে পারেন না। কাজের সূত্রে দূরে থাকার কারণেও কারও কারও ভোট দিতে সমস্যা হয়। এমন সব মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে সেদেশে ডাকযোগে ব্যালট পাঠানোর বিধান রয়েছে। এ বছর করোনা সংকটের কারণে অসংখ্য ভোটার সেই সুযোগ গ্রহণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি অ্যাক্সিওস/সার্ভে মানকির চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট মেল ইন পদ্ধতিতে ভোট দিতে চান। তবে তিন চতুর্থাংশ রিপাবলিকান সশরীরে ভোট দেওয়ার পক্ষে। সে কারণেই ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে মেল ইন ভোটের দাবি জানানো হলেও ট্রাম্প শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করছেন।