কক্সবাজার সদর উপজেলার শিল্প এলাকা ইসলামপুর নাপিতখালী সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে দৈনিক শত শত যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। বিশেষ করে ঢাকাগামী লবণ পরিবহনের বড় বড় ট্রাক চলাচলের মূল সড়ক এটি। এছাড়াও সিএনজি অটোরিক্সা দিয়ে মানুষ চলাচল করে থাকেন। কিন্তু সেই সড়কের নাপিতখালী বটতল থেকে ইসলামপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত।
গর্তে পড়ে নিয়মিত বিকল হচ্ছে বড় বড় ট্রাকসহ যানবাহন। ভোগাšÍিতে পড়েছেন গাড়ির চালক, যাত্রী ও সাধারণ মানুষ। এদিকে নাপিতখালী থেকে চৌফলদন্ডি পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য কোটি টাকার বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। বরাদ্ধের পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্টান সংস্কার কাজ শুরু করলে বাঁধে বিপত্তি। বর্ষা মৌসুমে সড়ক সংস্কার করায় এবং নিয়মিত ট্রাক চলাচল করায় এমনতর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নাপিতখালী থেকে ইসলামপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিঃমিঃ সড়কের একাধিক অংশে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। ইসলামপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বোগদাদিয়া ¯¬ট মিল পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার মিটারে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত। এসব গর্তে পড়ে একাধিক লবণ বোঝাই ট্রাক বিকল হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। সড়কের সিএনজি আটোরিক্সা চালকরা জানান, ইসলামপুর বাজারে দৈনিক শতধিক সিএনজি অটো রিক্সা চলাচল করে থাকে। সড়কের গর্তে পড়ে গত এক সপ্তাহে অর্ধশত গাড়ি বিকল হয়েছে। স্থানীয় শ্রমিক নেতারা জানান, সড়কের গর্তের কারণে চালকের পাশাপাশি যাত্রীদের দূর্ভোগ বেড়েছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা না হলে এটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের এসওকে একাধিকবার সড়ক সংস্কারের বিষয়ে অবহিত করেও কোন কাজ হয়নি। তিনি দ্রুত সড়ক সংস্কারে উর্ধতন কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।ইসলামপুর ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনজুর আলম দাদা জানান, নাপিতখালী ইসলামপুর সড়কে অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ কক্সবাজার অফিসকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ, কক্সবাজারের নিরবাহী প্রকৌশলি মিন্টু চাকমা জানান, অসংখ্য গর্ত সৃষ্ঠি হয়েছে এই কথা ঠিক। সমপ্রতি বৃষ্টির কারণে যে গর্তগুলো সৃষ্টি হয়ে তা দ্রুত সময়ে সংস্কার করেছে ঠিকাদার। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি আশা করেন।