দলিল লেখক মাহফুজুর রহমান রাসেল মোল্লা (৪০) তার সহকারির স্ত্রী’কে ব্ল্যাকমেইল করে তিন বন্ধু মিলে বিগত আট মাস যাবত পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কাপাসিয়া উপজেলা সদরের সাফাইশ্রী গ্রামে। এ ব্যাপারে রাসেল মোল্লাসহ অভিযুক্ত অপর দুই বন্ধু মৃত শুক্কুর আলীর পুত্র গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী খাইরুল আলম সবুজ (৩৮) ও মৃত আবুল হোসেনের পুত্র দলিল লেখক জাকির হোসেন সোহেল (৩৯) কে আসামি করে গৃহবধূ বাদী হয়ে ২৬ আগস্ট বুধবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কাপাসিয়া থানায় মামলা (নং- ৩০/২০৬) দায়ের করেছে। ধর্ষিত গৃহবধূকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সদরের সাফাইশ্রী গ্রামের দলিল লেখক মফিজ উদ্দিনের পুত্র দলিল লেখক মাহফুজুর রহমান রাসেল মোল্লার সাথে একই গ্রামের তার জনৈক বন্ধু গত প্রায় দুই বছর যাবত শিক্ষানবিশ সহকারি হিসাবে কাজ করছে। সেই সুবাদে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর রাত এগারোটার দিকে রাসেল মোল্লা সুযোগবুঝে তার ওই সহকারির বাড়িতে যায়। সহকারি বাড়িতে না থাকায় অপেক্ষার এক পর্যায়ে তার স্ত্রীকে ফুসলিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং কৌশলে তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে রাখে। পরবর্তীতে ওই ধারনকৃত ভিডিও দেখিয়ে গৃহবধূ’কে ব্ল্যাকমেইল করে অপর দুই বন্ধুর সাথে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনমিলনে বাধ্য করে। তাদের কথামতো না চললে ফেইজবুকসহ বিভিন্ন জায়গায় তা প্রচার করে মানসম্মান এমনকি সংসার নষ্ট করবে বলে হুমকী প্রদশর্ণ করে।
বিগত ২২ জুলাই রাত পোনে বারোটার দিকে বিভিন্ন কোম্পনীর এলপি গ্যাস সিলিন্ডার পরিবেশক ও মৃত শুক্কুর আলীর পুত্র খায়রুল আলম সবুজ ওই গৃহবধূ’র বাড়িতে যায় এবং জোরপূর্বক যৌণমিলনে লিপ্ত হয়। বিষয়টি পরস্পর গৃহবধূ’র স্বামী জানতে পারে এবং তার পিতা-মাতাকে ডেকে সালিস বৈঠক করলে ঘটনা জানাজানি হয়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ২৪ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টার দিকে আলোচিত ওই তিন বন্ধু মিলে গৃহবধূ’র বাড়িতে গিয়ে গাালগালিজ করে দা প্রদশর্ণ করে এবং ঘটনা নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দেয়।
এ বিষয়ে মোঃ মাহফুজুর রহমান রাসেল মোল্লা জানান, তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো। ওই গৃহবধূর স্বামীর সাথে তাদের আর্থিক বিষয়ে বিরোধ থাকায় ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে তাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গৃহবধূর অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি মামলা হয়েছে। ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তিন বন্ধু পলাতক রয়েছে। আসামীদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।