গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার খলসী মহল্লার মৃত-কুদরতউল্ল্যাহর ছেলে বালুদস্যূ সাদেকুল ইসলামগং দীর্ঘ দিন ধরে খলসী মৌজার করতোয়া কাটাখালী নদীতে শ্যালো মেশিন দ্বারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসিতে ছিলো।অবৈধ বালু উত্তোলন করায় নদীর আশে পাশের ফসলি জমি,ঘর-বাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হতে থাকে। স্থানীয় গ্রামবাসী অবৈধ বালু উত্তোলণের ফলে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে গ্রামকে রক্ষায় বালুদস্যূ সাদেকুল গংদের মৌখিক ভাবে বাধা-নিষেধ করে। কিন্তু তারা কোন বাঁধা নিষেধ না মেনে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করতেই থাকে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহল অবৈধ বালু উত্তোলণের ফলে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে ওই গ্রামকে রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৪ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মণ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাজির হোসেনের যৌথ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ওই অবৈধ বালু উত্তোলণের শ্যালো মেশিন, প্লাষ্টিক পাইপ ও প্লাস্টিকের ব্যারেলের সাঁজানো ভুঁড় জব্দ, অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়া দেয়। এ ঘটনাকে বালু দস্যূ সাদেকুল গংগেরা বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে গ্রামবাসিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য নিজেদের গো-খাদ্য খড়ের পুঞ্জিতে আগুণ লাগিয়ে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনার স্থলে যেয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ ছাড়াও তারা নিজেরাই নিজেদের ঘর-বাড়ি ও মালামালের ক্ষয়ক্ষতি করে গ্রামবাসিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছে। ওই এলাকায় অবৈধ বালু দস্যূদের সাথে স্থানীয় গ্রামবাসির যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় গ্রামবাসি বালু দস্যূ সাদেকুল গংদের হাত থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।