নড়াইলের মধুমতি নদীতে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ মুসার শিশু সন্তানের মরদেহ চারদিন পর ইতনাঘাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর দু’দিন আগে গত ৩০ আগস্ট বিভিন্ন মিডিয়ায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের ভুয়া খবর প্রকাশিত হলে তাদের পরিবারসহ বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, ঘটনার চারদিন পর মঙ্গলবার পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ মুসার শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে গত ৩০ আগস্ট (রোববার) মুসার মরদেহ মহিষাপাড়াঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মুসার পরিবারসহ এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।
পুলিশ কনস্টেবল মুসার বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চাঁচই গ্রামে। তিনি ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি ছুটিতে বাড়িতে আসেন।
গত ২৮ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় সপরিবারে নৌভ্রমণে এসে কালনাঘাটে নির্মাণাধীন সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় পুলিশ কনস্টেবল বাবা মোহাম্মদ মুসা ও তার শিশু সন্তান মধুমতি নদীতে নিখোঁজ হয়। তাদের বহনকারী ট্রলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে মুসার কোল থেকে ছেলে সন্তান মধুমতি নদীতে পড়ে যায়। সন্তানকে উদ্ধার করতে মুহূর্তেই নদীতে ঝাপ দেন মুসা। একপর্যায়ে মুসাও নিখোঁজ হন।
এদিকে ঘটনার পরেরদিন ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর সদস্যরা মুসা ও তার শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করেও তীব্র ¯্রােতের কারণে তা ব্যর্থ হয়।