কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী বাগরাইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনির ছাত্র তামিম (১০) এবং শিমুলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র হাসেন মিয়াকে(১১) উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে দুটি হুইল চেয়ার দেয়া হয়েছে।
বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকতারুন নেছা তার কার্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের হুইল চেয়ার প্রদান করেন। এ সময় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আহমেদ, স্কুলের প্রধান শিক্ষকদ্বয়, প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার্থীদের পিতা মাতা উপস্থিত ছিলেন।
তামিমের পিতা গ্রামের ক্ষুদ্র মুদি দোকানি মঈন উদ্দিন জানান, জন্মের পর যে বয়স থেকে সন্তান দাঁড়ানো বা হাঁটা শিখার কথা তার বেলায় এমনটি ছিলনা। দুতিন বছর বয়স থেকেও সে দাড়াতে পারছিল না। সাধ্যমত ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার জানান অপুষ্টির কারণে তার এ অবস্থা হয়েছে। তার বয়স এখন দশ। কিন্তু সে ভাল করে দাঁড়াতে পারে না। তবুও সে স্কুল যেতে চায়। তার মা প্রতিদিন কুলে করে স্কুলে নিয়ে যায়।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী হাসেন মিয়ার পিতা রহমত উল্লাহ একজন রিকশা চালক। তার তিন সন্তান। জমজ সন্তানের একজন হাসেন মিয়া। জমজ দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে সন্তানটি সুস্থ আছে। কিন্তু হাসেন মিয়া স্বাভাবিক ভাবে চলা ফেরা করতে পারে না। ডাক্তার দেখিয়েছি। গরীব মানুষ চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা প্রয়োজন। সে ভাবে চিকিৎসাও করাতে পারিনি। স্বাভাবিক ভাবে চলতে না পারলেও সে স্কুলে যেতে চায়। প্রতিদিন আমার রিকশা দিয়ে স্কুলে আনা নেয়া করি।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী তামিম ও হাসেন মিয়া হুইল চেয়ার পেয়ে খুশি। তারা এখন হুইল চেয়ারে নিজে নিজে স্কুলে যেতে পারবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আহমেদ জানান, উপজেলায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধী এরা দুজনই। তারা যেহেতু স্কুলে আসতে চায় এবং করোনার আক্রমণের আগে স্কুল চলাকালীন নিয়মিত স্কুলে আসতো তাই সরকারি বরাদ্দ থেকে তাদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকতারুন নেছা বলেন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা সব সময় করা হবে।