আইপিএল শুরুর আগেই হুট করে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফেরেন চেন্নাই সুপার কিংস তারকা সুরেশ রায়না। ব্যক্তিগত কারণে আসন্ন মৌসুমে আইপিএল থেকে তার সরে যাওয়ায় নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। দলের সাথে অভ্যন্তরীণ কোন ঝামেলার জের ধরেই রায়না সরে পড়েছেন এমন খবরও প্রকাশ হয়। এতদিন পর রায়না জানালেন চেন্নাইয়ের সাথে কোন সমস্যা নয় ব্যক্তিগত কারণেই দেশে ফিরেছেন। কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়া কেউ সাড়ে ১২ কোটি রুপি হাতছাড়া করবেনা বলে পরিষ্কার করেন সাবেক এই ভারতীয় ক্রিকেটার। এমনকি ভবিষ্যতেও চেন্নাইয়ের ক্যাম্পে তাকে দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। মূলত চেন্নাই মালিক এন শ্রীনীবাসনের করা মন্তব্যের পরই দলের সাথে ঝামেলার সন্দেহটা গাঢ় হয়। একটি ম্যাগাজিনের সাথে আলাপে শ্রীনীবাসন বলেন, ‘রায়না কি হারাতে যাচ্ছে সে পরে অনুধাবন করবে, আইপিএলের পুরো অর্থই হারাবে।’ যদিও পরে জানিয়েছেন তার মন্তব্যকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে, চেন্নাই সবসময় রায়নার পাশে আছে। ‘ক্রিকবাজকে’ রায়নাও তেমনটিই জানিয়েছেন, শ্রীনিবাসনকে পিতা সমতুল্য উল্লেখ করে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘তিনি আমার কাছে বাবার মত এবং তিনি সব সময় আমার পাশে ছিলেন। তিনি আমার হৃদয়ের কাছাকাছি অবস্থান করেন। আমকে তার ছোট ছেলের মত দেখেন। আমি নিশ্চিত উনি যা বলেছেন তা প্রসঙ্গের বাইরের বিষয়। একজন বাবা তার ছেলেকে বকা দিতেই পারেন।’ ‘তিনি প্রথমে জানতেন না আমার চলে আসার মূল কারণ। যে কারণে মন্তব্যগুলো করেছিলেন। এখন তাকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে এবং এরপর আমাকে ম্যাসেজও পাঠিয়েছেন। আমাদের মধ্যে এ নিয়ে কথা হয়েছে আমি এবং চেন্নাই সুপার কিংস এসবের বাইরে থাকতে চাই।’ নিজের আইপিএল থেকে সরে যাওয়ার কারণ জানাতে গিয়ে ৩৩ বছর বয়সী রায়না বলেন, ‘এটা একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ছিল। আমার পরিবারের জন্য আমাকে আসতেই হত। তাৎক্ষনিকভাবে জানানো দরকার ছিল। চেন্নাই সুপার কিংসও আমার পরিবারের মত আর মাহি ভাই (মাহেন্দ্র সিং ধোনি) অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। কোয়ারেন্টাইনের সময়ও আমি অনুশীলন করেছি। আপনি জানেন না হয়তো আমাকে আবার চেন্নাইয়ের ক্যাম্পে দেখা যাবে।’ ‘এটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। আমার ও চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যে কোন সমস্যা নেই। যৌক্তিক কোন কারণ ছাড়া কেউ তার সাড়ে ১২ কোটি রুপি ছেড়ে হাঁটা শুরু করবেনা। আমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় বলতে হয়েছে কিন্তু আমি এখনো তরুণ আর আমি আরও ৪-৫ বছর আইপিএলে খেলার দিকে তাকিয়ে আছি।’