দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে (৩৫) বুধবার গভীর রাতে সরকারী আবাসিক ভবনে ঢুকে ধারালো অস্ত্র ও হাতুরী দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার পিতা অমর আলীকেও কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা।
ইউএনও ওয়াহিদা খানম রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তার পিতাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর ঘিরে রেখেছে প্রশাসন।
দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ঘটনা স্থলে উপস্থিত রয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইউএনও’র বাসভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অপরাধীদের সনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।
জানা যায়, রাত আনুমানিক আড়াইটায় বাসার প্রহরীকে বেঁধে রেখে একদল দুর্বৃত্ত উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার আবাসিক ভবনের ভেন্টিলেটার ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় তার চিৎকারে একই বাসায় থাকা, পিতা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও জখম করে। অন্য কোয়াটারের বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে রংপুরে পাঠানো করা হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে আইসিইউতে ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, ঠিক কি কারণে ঘটনা ঘটেছে, তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।