নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বালুবাহী গাড়ী যাতায়াতের ডাইভারশনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের আত্রাইখালী বালুমহাল এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নিলে আহত হয় উভয় পক্ষের শ্রমিকরা। সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহীনুর আলম সাজুর পক্ষের গুরুতর আহতরা হলেন মো. আইয়ুব আলী (৪৫), আবদুল জলিল (৪৬) অপরদিকে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদুর রহমান এর পক্ষের টুটন সরকার (৩৮), কাজল চন্দ্র দে (৩৫), ডলি রাণী সরকার (৩৫)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঐদিন বিকেলে উপজেলার মধ্যমবাগান এলাকায় বালুর গাড়ী চলাচলের জন্য ডাইভারশন সংস্কার কাজ করতে এক পক্ষের শ্রমিকরা গেলে এতে অন্য পক্ষের লোকজন সংস্কারে বাঁধা দেয়। পরবর্তিতে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়।
এ ব্যপারে থানায় অভিযোগ দায়েরকারী জাহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য তিনটি ড্রাইভারশন তিনজনকে ভাগ করে দেন। দুই বৎসরের অধিক সময় ধরে ড্রাইভারশনটি আমাদের দখলে। ঐ পক্ষের লোকজন আমাদের ড্রাইভারশনে আসিয়া প্রায় সময় চাঁদা দাবি করতো। ঘটনার দিন এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে টুটন ও কাজল তাদের সাঙ্গপাঙ্গ সহ ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ড্রাইভারশন ঘরে প্রবেশে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করলে আমরা তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমিসহ আমার সাথে থাকা লোকজনদের মারধর করে। এতে আবদুল জলিলের হাতে থাকা রামদিয়া দিয়ে মো. আইয়ুব আলীকে আঘাত করলে ডানহাতের বৃদ্ধাঙ্গুলীকাটা রক্তাক্ত জখম হয়। টুটনের হাতে থাকা কিরিচ দিয়া আবদুল জলিলের পেটে ঘা দিতে চাইলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙুল কাটা-চিরা রক্তাক্ত জখম হয়। আমাদের চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন আসতে থাকলে যাবার সময় ডাইভারশনের ক্যাশ বাক্স হতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যায়।
সংঘর্ষ নিয়ে অপর পক্ষের আ.লীগে সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, বিডারের লোকজন ড্রাইভারশন রক্ষনাবেক্ষনের জন্য লোক পাঠিয়েছিল। জায়গাটা কালি মন্দিরের কাছের ডাইভারশনের আশ-পাশে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের লোকের সাথে লোকজনের তর্কবিতর্কের ঘটনা ঘটে। কালিবাড়ির পার্শ্বে যে ডাইভারশন আছে সেখানে চেয়ারম্যানের লোকজন ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি আটকানোর কারনেই সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়।
সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর আলম সাজু সাংবাদিকদের জানান, আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে কখনোই ঝগড়া-ফ্যাসাদ পছন্দ করিনা। তবে ডাইভার্শনের শ্রমিকদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি শাহ নুর-এ-আলম এ জানান, মারপিটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।