কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার গান্ধারচর গ্রামে গত দুই বছর আগে স্মৃতি আক্তার রিমা নামের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬জনকে আসামি করে রিমার মা আঙ্গুরা খাতুন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
অভিযোগ উঠেছে, ওই মামলায় সাক্ষী না দেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ফলে তারা গৃহবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট-২ এর আদালতে একটি মামলা করেছেন ওই মামলার ৩ নম্বর সাক্ষী নিহতের মামা মো. মুসলিম মিয়া। তিনি একই গ্রামের মৃত রোকন উদ্দিনের ছেলে। মামলায় উপজেলার চরফরাদী গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে কফিল উদ্দিন ও মৃত ইদ্রিস আলী ছেলে ফারুক, গান্ধারচর গ্রামের ফজলু সরকারের ছেলে আবদুল্লাহ ও আব্দুল্লাহর ছেলে মামুন এবং চরকাওনা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে কারিমাকে আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে মায়ের সাথে ওই গ্রামে নানার বাড়ি বেড়াতে আসে স্কুল ছাত্রী স্মৃতি আক্তার রিমা। রিমার বাড়ি পার্শ্ববর্তী হোসেনপুর উপজেলার জামাইল গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত আবুল হোসেন। ১৮ জুলাই নানার বাড়ির পশ্চিম পাশে পুকুর পাড়ের একটি বরই গাছের ডালে ঝুলন্ত রিমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রিমা মা আঙ্গুরা খাতুন বাদি হয়ে ১৯ জুলাই রাতে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫/৬জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় চরফরাদী গ্রামের কফিল মিয়ার ছেলে রাজু মিয়া, ফারুক মিয়ার ছেলে রুমান মিয়া, খুর্শিদ মিয়ার ছেলে জাহিদ মিয়া, রুবেল মিয়ার ছেলে পিয়াস মিয়াসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫/৬কে আসামি করা হয়। ওই মামলায় সাক্ষী না দেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা প্রকার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
মামলার সাক্ষী মুসলিম মিয়া বলেন, ওই মামলায় যাতে সাক্ষী না দেই এবং মামলার তদবির না করি সে জন্য আমাকেসহ পরিবারের সকল লোকজনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে মামলার আসামি পক্ষের লোকজন। গত ৩/৪দিন আগে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগিরা দা, লাঠি, লোহার রড নিয়ে আমার বাড়ির উঠানে এসে হুমকি দিয়ে বলে আমরা যদি মামলায় সাক্ষী দেই তাহলে আমাদের হাত, পা ভেঙ্গে উল্টো আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হবে। ফলে আমরা তাদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্তের কাউকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।