বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে ভেটেনারী সার্জন না থাকায় গবাদি পশু পালনকারীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে করে সাধারণ জনগণ বিপাকে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে গত দেড় বছর যাবত ভেটেনারী সার্জন নাই। এই কারণে গবাদি পশু নিয়ে অনেকে আছেন বিপদে। এরই ফাঁকে এলাকায় এলাকায় গড়ে উঠেছে বেসরকারি পল্লী প্রাণি চিকিৎসক। বেশিরভাগ পল্লী প্রাণি চিকিৎসকদের নেই কোন সার্টিফিকেট বা প্রাণি চিকিৎসার ওপর প্রশিক্ষণ।
এদের মটর সাইকেলের পিছনে থাকে পশুকে বীজ দেওয়ার একটি বক্স আর থাকে একটি কালো ব্যাগ। তারা গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। তাই প্রাণি সম্পদ অফিসে ভেটেনারী সার্জন খুবই জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে।
গবাদি পশু পালনকারী শাহিনুর ইসলাম, আবদুল মালেক, আবদুল গফুর, আবদুল সামাদসহ আরো অনেকের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, পশু পালন করতে গিয়ে যদি ভালো ডাক্তার না পাই তাহলে আমাদের বিপদ আরো বাড়বে। গবাদি পশুগুলো অসুস্থ হলে আমার স্থানীয় পশু চিকিৎসককে ডাকি। এতে অনেক টাকা খরচ হয়।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা জাফরিন রহমান বলেন, আমি অনেক সময় প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকি। আমার অফিসে একজন মাত্র কম্পাউন্ডার রয়েছেন। এলাকার কৃষকদের গবাদি পশুর চিকিৎসা কিছুটা বিঘœ ঘটছে। সার্জন থাকলে এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবেন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে