নীলফামারীর সৈয়দপুরে সেলফ হেলফ এ- রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম শার্প নামক সংস্থার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই এনজিও’র চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়া সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার সাদিকুর রহমান। তিনি ৭ সেপ্টেম্বর তার নিজ বাসা হাতিখানায় ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ সময় তিনি বলেন ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রতিষ্ঠানের নানা চাঁপে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেন। চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর কর্তৃপক্ষ তার পাওনাদি পরিশোধ না করে তাকে উল্টো নানা প্রকার ভয়ভীতি দেখানো হয় এমন দাবি করেন সংবাদ সম্মেলনে। এক পর্যায় তার বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ এনে স্থানীয় থানায় মামলা দেয়া হয়। এর কারণ হিসেবে তাকে কোন কিছু বলা হয়নি। তারপরও তিনি তার পাওনাদি বুঝে পেতে প্রতিষ্ঠানের কাছে লিখিত আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন চাকুরীতে যোগদানের সময় তার মূল সার্টিফিকেট, ফাঁকা চেকের পাতা এবং বকেয়া পাওনাদি দেয়া হোক। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রধান মাহবুব-উল-আলম গত মাসের ২০ আগস্ট তাকে অফিসে ডাকেন। তিনি সৈয়দপুরের বাইরে থাকায় তার স্ত্রীকে অফিসে পাঠান। তার স্ত্রীকে বলেন পাওনাদি ২৩ আগস্ট পরিশোধ করা হবে। ওই সময়ও পার হয়ে গেলে আবার পাওনাদির জন্য অফিসে যোগাযোগ করলে চলতি মাসের ৬ সেপ্টেম্বর আবার অফিসে ডাকেন। ওইদিন আমি অফিসে গেলে তারা আমাকে দেখে মেইন দরজা বন্ধ করে দেন। দারোয়ান মারফত বলেন দেখা হবে না আপনি ফিরে যান। এরপর থেকে আমি শত চেষ্ঠা করেও আমার পরিশ্রমের টাকা ফেরত পাইনি। এরইমধ্যে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়। বর্তমানে আমি অনেক কষ্ঠে আছি। তাই আমার যাবতীয় পাওনাদিসহ চেক ও মূল কাগজপত্র ফেরত চাই। এ বিষয়ে আমি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করি।
এ বিষয়ে শার্পের নির্বাহী প্রধান মাহবুব- উল- আলম বলেন ওই ব্যক্তির সাথে শার্প কোন ধরনের অনিয়ম করেনি। বরং তিনি চাকুরী করাকালীন অবস্থায় নানা ধরনের অনিয়মের সাথে জরিয়ে পড়েন। যার প্রমান তার নিজ স্ত্রী। আমরা তার পাওনাদি প্রস্তুত করে রেখেছি। তিনি তা না নিয়ে উল্টো আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যে দোষারোপ করছেন।