কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ভোলাইন গ্রামে বসত বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করতে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলা বাড়ীঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে ৫ জনকে আহত করে। গত শনিবার ও রোববার রাতে দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন ভোলাইন স্কুল এ- কলেজের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী মরিয়ম বেগম ( ৪৮), তার মেয়ে রুমি আক্তার (১৮), তাছলিমা আক্তার (২০), তার ছেলে লিটন (৩০), মরিয়মের ভাই আরিফ (২০)। আহতদের নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে ৮জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের ভোলাইন গ্রামের মৃত আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী মরিয়ম বেগম তার ছেলে মেয়েদের নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত শনিবার ও রোববার একই বাড়ীর রবিউল হোসেন মন্টু, জয়নাল আবেদীন, সোহেল, নাছির, সালাউদ্দিন, রাসেল, সুমি আক্তার ও ফারজানা বেগম’সহ আরো ৫-৬ জনের সন্ত্রসী গ্রুপ তাদেরকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করতে বাড়ী-ঘরে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে ৫জনকে আহত করে।
মামলার বাদী মরিয়ম বেগম বলেন, সন্ত্রাসীরা ২০০৭ সালেও আমাদের বাড়ী ঘরে হামলা ভাংচুর চালায়। ওই ঘটনায় আমরা মামলা দায়ের করি, এবং ২০১৪ সালেও তারা একই ঘটনা ঘটায়। এছাড়া, ২০১৮ সালে তাদের হামলায় আমার স্বামী আবদুর রাজ্জাক গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থেকে মারা যায়। হত্যা কান্ডের ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়। এখন তারা আমাদের উপর পুনরায় হামলা ভাংচুর করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই সফিকুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।