নীলফামারীর সৈয়দপুরে সেলফ হেলফ এ- রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার সাদিকুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা প্রকার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ সকল অভিযোগ করেন শার্পের নির্বাহী প্রধান মাহবুব- উল- আলম। তিনি বলেন সংস্থায় কর্মরত অবস্থায় তিনি প্রতিষ্ঠানের নিয়ম কানুন ভক্সগ করে জরিয়ে পড়েন অনিয়মের বেড়াজালে। সহকর্মীর কাছ থেকে মোটর সাইকেলের লাইসেন্স করে দেয়ার কথা বলে গ্রহন করেন হাজার হাজার টাকা। দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি করে দিতে পারেননি ওই লাইসেন্স। ফলে প্রতারিত ব্যক্তিরা তার কাছে টাকা ফেরত পেতে ধর্ণা দিতে থাকেন। এক পর্যায় মানবিক কারণে সেটির সমাধান টানা হয়। এরপর টাকার লোভে অন্ধ হয়ে তিনি আবার শুরু করেন ফন্দি। এবার প্রতিষ্ঠানের চৌমহনী শাখার গ্রাহকের কাছ থেকে শুধু স্বাক্ষরের মাধ্যমে গ্রহন করেন ৭০ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠানকে না জানিয়ে তিনি এ টাকা নিজস্ব কাজে ব্যয় করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি জানা জানি হলে তিনি ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যান। তবে টাকাগুলো তার বেতনের সাথে সমন্বয় করা হয়। তার এ অনিয়মও প্রতিষ্ঠানের সার্থে ক্ষমা করা হয়। এারপরও রয়েছে তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর ঘটনা। এর সাক্ষি তার নিজের স্ত্রী। এসকল অনিয়ম করার পরও প্রতিষ্ঠান মানবিক কারণে এবং তার স্ত্রীর নমোনীয় কথায় চাকুরী চুত্য না করে তাকে ওই পদে বহাল রাখা হয়। পরবর্তীতে তিনি নিজের দোষ বুঝতে পেরে স্বেচ্ছায় চাকুরী থেকে অব্যাহতি নেন। চাকুরী থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর পাওনাদাররা টাকার জন্য তার কাছে গেলে তিনি বিভিন্ন দুঃখের কথা বলে তাদের ফিরিয়ে দেন। যেহেতু পাওনাদাররা একই প্রতিষ্ঠানের সেহেতু ওই ব্যক্তির পাওনাদি থেকে তাদের পাওনা সমন্বয় করা হয়। সমন্বয়ের পর প্রতিষ্ঠানের কাছে তার পাওনা থাকে ৪৪ হাজার টাকা। আমরা ওই টাকা নেয়ার জন্য তাকে সংবাদ দেই। তিনি ওই টাকা না নিয়ে উল্টো প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দোষি করে বিষদগার করেন। তার কথা হলো পাওনাদারের টাকা না দিয়ে তার পাওনা বুঝে নিয়ে সটকে পড়া। কিন্তু প্রতিষ্ঠান তার এ কাজে বাঁধা দেয়। ফলে এখানেও তিনি প্রতারণা করতে ব্যর্থ হন। এরপর কোন উপায় না পেয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অযথা বিষদগার করতে থাকেন। তার ভাড়া করা বাসায় করেন সংবাদ সম্মেলন। সেখানে দোষারোপ করা হয় প্রতিষ্ঠান প্রধানকে। তাই আমরা সমস্যার সমাধান টানতে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। বর্তমানে অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।