রংপুরের তারাগঞ্জে যমুনেশ^রী নদীতে চলাচলের একমাত্র রাস্তা ভেঙ্গে পড়ায় বিপাকে পড়েছে পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এলাকাবাসীর চেষ্টায় ভাঙ্গা রাস্তায় বাঁশের শাকো নির্মাণ করে জনজীবনের ঝুকি নিয়ে চলছে চলাচলের কাজ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ি ঘাটিয়ালপাড়া নামক স্থানে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে গেছে যমুনেশ^রী নদী। খরার সময় নদীতে তেমন পানি না থাকলেও বর্ষাকালে নদীতে থৈ-থৈ পানিতে ¯্রােত বেড়ে যায়। কিছুদিন আগের অতিরিক্ত বর্ষায় নদীতে পানি ও ¯্রােত বেড়ে যাওয়ার দুইদিকের পাড় ভেঙ্গে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে নদীটিতে ঘাটিয়ালপাড়ার ভিতর দিয়ে যাওয়া ওই এলাকার ৫ গ্রামের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে বিরম্বনায় পড়ে ওই ৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। গ্রামবাসীরা ভাঙ্গা রাস্তার উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পায়ে হেটে পারাপার হচ্ছেন ভাঙ্গা অংশটুকু। কিন্তু কৃষিপণ্য ও অন্যান্য দ্রব্যাদি নিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে ৭ থেকে ৮ কি.মি. দূরত্বের বিকল্প রাস্তা দিয়ে। এতে করে একদিকে যেমন তাদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত পথ খরচ তেমনি ব্যয় করতে হচ্ছে সময়।
ঘাটিয়ালপাড়া গ্রামের মোকলেস আলী বলেন, হামাগুলার তারাগঞ্জ যাওয়ার একমাত্র রাস্তা হইল এই রাস্তা। এই রাস্তাটাই এইবার বাইস্যাত ভাঙ্গি যেয়া এখন তারাগঞ্জ যাবার নাগোছে আরো ৭ মাইল রাস্তা ঘুরি ডাংগীরহাট হয়া। তাতে করি হামার টাকাও খরচ হয়ছে বেশি আর সময়ও নাগেছে বেশি।
একই কথার সুর ধরে ওই গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, রাস্তাটা যাতে ভাঙ্গি না যায় সেজন্যে গ্রামবাসী সবাই মিলে অনেক চেষ্টা করছি। কিন্তু আটকের পাই নাই। রাস্তাটা ঠিক করা হামার জন্য খুব জরুরী।
ইউএনও আমিনুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গনের খবর শুনে আমি ও উপজেলা চেয়ারম্যান পরিদর্শন করি। যেহেতু এটি একটি বিশাল বাজেটের কাজ তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন বলেন, রাস্তাটি ভেঙ্গে পড়ার পর এলাকার লোকজন আমাকে বিষয়টি জানালে আমি তাৎক্ষনিকভাবে ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে এসেছে। সাময়িকভাবে কিছু বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। তবে চেষ্টা চালাচ্ছি যত তারাতারি সম্ভব কাজ শুরু করার।